ভিডিও

এ মাসেই ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু 

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৪, ১০:৪৯ দুপুর
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৪, ০২:১১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক জোরদার করার পথ ও পন্থা ঠিক করতে ঢাকা আসছেন প্রভাবশালী যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে ঢাকায় আসছেন তিনি। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সিনিয়র ডিরেক্টর লিন্ডসে ফোর্ড। 

কূটনৈতিক সূত্র জানা গেছে, প্রতিনিধিদলটি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করা ছাড়াও অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।  

সূত্র মতে, মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফরে অর্থনৈতিক ও আর্থিক সহায়তার মতো বিষয়গুলোতে অগ্রাধিকার থাকলেও সার্বিক সম্পর্ক উন্নয়নের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে। বিদ্যমান শ্রম আইন সংশোধনের অগ্রগতি জানতে চাইতে পারে প্রতিনিধি দলটি। কারণ আগামী দিনে ডিএফসি ফান্ড প্রাপ্তি সহ বাংলাদেশকে যে কোনো অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা প্রদানে যুক্তরাষ্ট্র শ্রমমানকে অগ্রাধিকারে রাখবে। 

বিশেষত: আর্থিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে শ্রম মানের উন্নতি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তথা ডেমোক্রেটিক শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির ফোকাস হচ্ছে বিশ্বময় গণতন্ত্রের চর্চা। বাংলাদেশে ১৬ বছরের স্বৈরশাসনে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় পৌঁছেছে। যে বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্রসহ মানবাধিকার সংবেদনশীল রাষ্ট্রগুলোর অজানা নয়। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে অন্তর্র্বতী নতুন সরকারের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের আলোচনায় উপরোল্লিখি বিষয়গুলো আলোচনায় আসতে পারে। এছাড়া মানবাধিকারের ক্ষেত্রে গত এক যুগের বেশি সময়জুড়ে বাংলাদেশে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যাপক সমালোচনা ছিল। অন্তর্র্বতী সরকার এরই মধ্যে গুমবিরোধী সনদে সই করেছে। গুমের ঘটনাগুলোর বিচারে তদন্ত কমিশনও গঠন করেছে। গত ১৬ বছরের উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক সংস্কারে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া হতে পারে।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর গত মে মাসে বাংলাদেশ সফর করেন দক্ষিণ এশিয়ায় বহুল আলোচিত মার্কিন কূটনীতিক লু। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ডোনাল্ড লু তথা যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রতিনিধি দলের এটাই হতে যাচ্ছে প্রথম বাংলাদেশ সফর।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS