ভিডিও

আমরা আত্মকেন্দ্রিক হবো না, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবো : পলক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪, ০২:১৯ দুপুর
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪, ০৭:৪৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, অবশ্যই আমরা আত্মকেন্দ্রিক হবো না। সারা বিশ্বের সঙ্গে আমরা তাল মিলিয়ে যোগাযোগ রেখে চলবো। জানবো চলবো জ্ঞান অর্জন করবো। 

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে অমর একুশের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাংলা ফন্টসহ একগুচ্ছ প্রযুক্তি সেবা চালু করা হয়।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য আত্মনির্ভরশীল স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। পরনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা নয়।

পলক বলেন, আমরা প্রত্যেকটা সেবা নিজস্ব উদ্ভাবক, গবেষকের মাধ্যমে তৈরি করতে চাই৷ একদিকে যেমন আমরা বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহার করতে বাধা দেব না, কিন্তু যেন আমাদের নিজস্ব একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থাকে, সেজন্য আমরা দেশি উদ্ভাবক, গবেষকদের উৎসাহিত করছি। প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছি। অবশ্য আমার গুগল জি বোর্ড গুগল ক্লাউড ব্যবহার করবো, পাশাপাশি উচ্চারণ, কথা, বর্ণমালা, পূর্ণ, অনুভব, ধ্বনি, গুরুসহ আমাদের নিজস্ব যত ধরনের প্রযুক্তি সেবা রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করবো। 

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ৪০টি সফটওয়্যার, ১৬টি কম্পোনেন্ট bangla.gov.bd তে সমন্বয় করেছি। সবগুলো একসঙ্গে এখানে সংরক্ষণ করেছি। এগুলোর কপিরাইট, মেধাস্বত্ত বা ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইট থাকবে। যা ভবিষ্যতে নতুন ধরণের সার্চ ইঞ্জিনের জন্য ফাউন্ডেশন হিসেবে এগুলো কাজ করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছর আমি খুব বেশি আশাবাদী ছিলাম না। তবে আমাদের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়, আইসিটি, কম্পিউটার কাউন্সিল মিলে এমন একটা অবস্থায় আমরা এসেছি আমি এখন খুবই আশাবাদী। প্রধানমন্ত্রী আগামীর ৪১ এর যে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেছেন, সেখানে প্রযুক্তি নির্ভর উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এবং বর্তমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নতুন প্রজন্ম কিন্তু তৈরি হয়ে গেছে। 

পলক বলেন, ৪০টা সফটওয়্যার তৈরি হচ্ছে, যেখানে থাকছে ১৬ টি কম্পোনেন্ট। সেখানে সাতটি বাংলাদেশের সফটওয়্যার কোম্পানি সেখানে কাজ করছে। দশটি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে কাজ করছে। ইতোপূর্বে আমরা বেশ কয়েকটি সফটওয়্যার উদ্বোধন করেছি। যেটার ব্যবহার হচ্ছে। আমরা এখন গর্ভের সঙ্গে বলতে পারি ১৬ ধরনের কম্পোনেন্ট, ৪০ ধরনের সফটওয়্যার তৈরি করছি। যেটি হবে, ডিজাইন ইন বাংলাদেশ ডেভেলপ ইন বাংলাদেশ, মেইড ইন বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অঙ্গীকার করেছি, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যত সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোকে লাভজনক করা। আমি জানি এটা অনেক কঠিন। তারপরও এ কঠিনকে বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার করেছি। জিপন প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিতে চাই। সেজন্য আমরা গ্রাহক প্রান্তে অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে দ্রুতগতি ইন্টারনেট সেবা আমরা দিচ্ছি। আমাদের যে বিশাল চাহিদা রয়েছে সেজো সেটা পূরণে আমরা এখন বিটিসিএল কে আধুনিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত করতে চাই। সুলভ মূল্যে আমরা ইন্টারনেট দিচ্ছি। স্পিড বাড়িয়ে দাম কমিয়েছি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS