ভিডিও

গ্রিন কোজি কটেজে আগুন চুলা বা গ্যাস লিকেজ থেকে: ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশিত: মার্চ ০১, ২০২৪, ০২:৪৯ রাত
আপডেট: মার্চ ০১, ২০২৪, ১১:২৪ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরে এমনকি সিঁড়িতেও রাখা ছিল ৩৫ কেজি ওজনের অনেক গ্যাস সিলিন্ডার।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বেইলি রোডের বহুতল ভবনটিতে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিস ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে চুলা থেকে বা গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরেই গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল বলেও জানিয়েছেন বাহিনীটির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়া জেনারেল মঈন উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুন লাগে। ভবনটিতে কাচ্চি ভাই, ইলিয়েনসহ বেশ কয়েকটি দোকান আছে।

প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিভিয়ে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। এরপরই আসতে থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর।

রাত সোয়া ১টার দিকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির সামনে সাংবাদিকদেরকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, “আমার ধারণা চুলা থেকে অথবা গ্যাস লিক থেকে আগুন হতে পারে।”


তিনি বলেন, “দ্বিতীয় তলা ছাড়া প্রতিটি তলাতে এমনকি সিঁড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল। এ জন্য এটা বিপজ্জনক।”

এই ভবনে কেবল একটি সিঁড়ি ছিল বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের প্রধান। এই আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি। এরপরই ভবনটি নিরাপদ হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

গ্রিন কোজি কটেজে আগুন চুলা বা গ্যাস লিকেজ থেকে: ফায়ার সার্ভিস
আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একের পর এক মানুষদেরকে বের করে আনার সময় বোঝা যায়নি কত মর্মান্তিক খবর অপেক্ষা করে আসছে।

রাত একটার পর থেকে আসতে থাকে মৃত্যুর খবর। শুরুতে ১১ জনের, পরে ২০ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা।


রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ট্রাকে করে আনা হয় মরদেহ। পরে রাত দুইটার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন ৪৩ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন। জানান আরো ২২ জনকে নিয়ে তারা শঙ্কায়। তাদের কণ্ঠনালি পুড়ে গেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, ভবনটির তৃতীয় তলায় একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে বাকি তলার প্রত্যেকটিতে খাবারের দোকান।

এই দুর্ঘটনার ঘটনায় মামলা হবে এবং দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, এই ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে সিঁড়িতে ৩৫ কেজি ওজনের গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল, এখানে সিলিন্ডার রাখার কোনো সুযোগ নেই।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS