ভিডিও

৩৫ বছর পর সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায়ে দু’জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৪, ১২:০১ দুপুর
আপডেট: মার্চ ১৩, ২০২৪, ০৭:০১ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় ৩৫ বছর আগে গুলিতে সগিরা মোর্শেদ সালাম (৩৪) হত্যার ঘটনায় ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দু’জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। আজ বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। 

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা। মামলায় অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়। তারা হলো, ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭০) ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদ ওরফে শাহীন (৬৪) ও মন্টু মন্ডল। বাদিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিন রায় ঘোষণার সময় মামলার সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে ২ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে সন্তুষ্ট নন মামলার বাদি নিহত নারীর স্বামী সালাম চৌধুরী। তিনি মন্টু মন্ডল বাদে অপর আসামিদের খালাসের আদেশ বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান। 

এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন। তবে ওই দিন রায় পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়। ওইদিনও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে আজ ১৩ মার্চ ধার্য করেন আদালত। মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ৫৭ জন সাক্ষির মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

মামলার অভিযোগপত্রে জানা যায়, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুরি সগিরাকে বেশি পছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনেরও দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করেন ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন শাহীন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে সগিরা মোর্শেদ সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বের হন। স্কুলের সামনে পৌঁছলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতের জিআর শাখায় এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় ৫৭ জন সাক্ষির মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS