ভিডিও

মোটর শিল্পে সরকারের নীতি সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: মে ০৯, ২০২৪, ০৭:৫৪ বিকাল
আপডেট: মে ০৯, ২০২৪, ০৭:৫৪ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

স্থানীয় বাজারে অটোমোবাইল শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বিশাল এ বাজারের চাহিদা মেটাতে গাড়ি ও যন্ত্রপাতির অধিকাংশ নিয়ে আসতে হয় বিদেশ থেকে। এ শিল্পের বিকাশ ও স্থানীয় বাজার ধরার পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকারের সহযোগিতা চান এ খাতের ব্যবসায়ীরা। সরকারের নীতি সহায়তা পেলে দেশেই অটোমোবাইল প্রস্তুত ও উৎপাদন কার্যক্রম বিকশিত হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড অ্যাসেম্বলারস বিষয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান এবং উত্তরা মোটরস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি এখন অনেক বড়। অর্থনীতি বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে মোটর শিল্পের চাহিদাও অনেক বেড়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী আগাতে হবে।’ 

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ব্যবসায় অতীতেও যেমন চ্যালেঞ্জ ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এরই মধ্যে বেসরকারি খাত এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হবে।’ এ সময় লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিকাশের ওপরও জোর দেন তিনি।

অটোমোবাইল খাতে ম্যানুফ্যাকচারিং বা প্রস্তুতকরণে ব্যবসায়ীদের কাজ শুরু করার আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই্ সভাপতি বলেন, ব্যবসা চালাতে গাড়ি আমদানি করা হচ্ছে এবং হবেও। তবে আমদানি সারা জীবন নয়, এখন সময় হয়েছে আমদের গাড়ি প্রস্তুতকরণে মনোযোগী হওয়ার। এজন্য কাউকে না-কাউকে কাজ শুরু করতে হবে। এ সময় অটোমোবাইল উৎপাদনে বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন বলেন, ‘দেশের জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। তবে জনসংখ্যার তুলনায় পর্যাপ্ত গণপরিবহন না থাকায় মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ি কিনছে। এক্ষেত্রে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করছে। তবে আমদানির সঙ্গে সঙ্গে অ্যাসেম্বলিং এবং তারপর প্রস্তুতকরণে কাজ শুরু করতে হবে।’

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্যবসায়ীরা দেশের অটোমোবাইল খাতের ভেন্ডর উন্নয়নে জোর দেন। তারা বলেন, ‘অটোমোবাইল খাতের বিশাল বাজার রয়েছে সারা বিশ্বে। এসব বাজার ধরতে দেশে যন্ত্রপাতি তৈরিতে ভেন্ডর উন্নয়ন জরুরি। ভেন্ডর উন্নয়নে প্রণোদনাসহ লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত।’ 

এ ছাড়া অটোমোবাইল খাতের মেইটেন্যান্সের জন্য আলাদা অঞ্চল নির্ধারণ করে দেওয়া, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসআরওতে পরিবর্তন আনা, দেশে ইলেকট্রিক যানবাহন আমদানি সহজীকরণ করা, বিআরটিএতে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া দ্রুততর করা, ব্যাংকগুলোকে একই নীতি অনুসরণ করাসহ অটোমোবাইল খাতসংশ্লিষ্ট সরকারের যেকোনো নীতিমালা প্রণয়নে অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীদের মতামত গ্রহণের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। 

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, কাওসার আহমেদ, নিয়াজ আলী চিশতী, আমির হোসেন নূরানী, মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS