ভিডিও

অন্তর্বাসে থাকতো ডিভাইস, পরীক্ষা শেষ হতো ১০ মিনিটেই

প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৪, ০৯:০৬ রাত
আপডেট: মে ১২, ২০২৪, ০৯:০৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগসহ (তৃতীয় ধাপ) সরকারি অন্তত ৯টি নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী। অন্তর্বাসে লুকিয়ে রাখা অত্যাধুনিক গোয়েন্দা সরঞ্জাম বা স্পাই ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে তারা এ জালিয়াতি করতেন।

ডিভাইসের মাধ্যমে বাইরে চলে যেত প্রশ্ন। উত্তর শুনে তারা ১০ মিনিটে এমসিকিউ সমাধান করে ফেলতেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণের শর্তে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এ কাজ করে আসছিল একটি চক্র। চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলো মো. জুয়েল খান, মো. রাসেল, মো. মাহমুদুল হাসান শাকিল, মো. আব্দুর রহমান, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. আজহারুল ইসলাম ও মো. মাসুম হাওলাদার।

তাদের কাছ থেকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা জিএসএম সুবিধাসংবলিত ১০টি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস, সাতটি মোবাইল ও ১০টি সিম কার্ড এবং একটি পকেট রাউটার জব্দ করা হয়েছে। 
আজ রোববার (১২ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এসব তথ্য জানান। ডিবিপ্রধান বলেন, পরীক্ষার্থীর কানের মধ্যে ক্ষুদ্র ডিভাইস থাকে, পকেটে থাকে রাউটার অথবা মেয়েদের অন্তর্বাসে বা ছেলেদের গেঞ্জির মধ্যে লুকানো ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্টেড একটা সিম রাখে।

এরপর বাইরে থেকে যখনই টেলিফোন করে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার্থী শুনতে পায় এবং ১০ মিনিটের মধ্যে উত্তরগুলো সলভ করে ফেলে। চক্রটি বাইরে থেকে উত্তর বলবে আর যাদের কাছে অন্তর্বাস বা গেঞ্জির সঙ্গে ডিভাইস থাকবে, তারা ভেতর থেকে উত্তরগুলো শুনে সঙ্গে সঙ্গে এমসিকিউ দাগিয়ে ফেলবে।

চক্রের সদস্যরা প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (তৃতীয় ধাপ), বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট কালেক্টর (গ্রেড ২) ও বুকিং অ্যাসিস্ট্যান্ট (গ্রেড ২), পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অফিস সহায়ক, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, টাঙ্গাইলের অফিস সহায়ক, মৎস্য বিভাগের অফিস সহায়ক, গণপূর্তের হিসাব সহকারী ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপকসহ আরও বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় উল্লিখিত পন্থায় অপরাধকর্ম সংঘটিত করেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে ডিবির হারুন বলেন, চাকরিভেদে এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষায় টিকিয়ে দেওয়ার জন্য ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং লিখিত, ভাইভাসহ ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিত চক্রটি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS