ভিডিও

দাবি না মানলে কর্মবিরতিতে যাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৪, ০৯:৩৬ রাত
আপডেট: মে ২১, ২০২৪, ১১:২৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। এই সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন এবং কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

 

আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া। সম্মেলনে ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

 

এর আগে গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা বা তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসমূহকে ‘প্রত্যয়’ স্কিমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা চলতি বছরের ১ জুলাই এবং তার পরবর্তী সময়ে যারা চাকরিতে নতুন যোগ দেবেন তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এরপর থেকেই এই স্কিম থেকে পাবলিক শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সবশেষ গতকাল সংবাদ সম্মেলন ডেকে প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে তিনটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম কর্মসূচি হলো, আগামী ২৫ মে তারিখের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো ধরনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে ২৬ মে, সারা দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষকরা একযোগে সকাল ১১টা থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন। দ্বিতীয় কর্মসূচি, আগামী ২৮ মে সারা দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালসমূহের শিক্ষকরা সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন।’

 

নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যেও দাবি না মানা হলে আমাদের তৃতীয় কর্মসূচি, আগামী ৪ জুন সারা দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালসমূহের শিক্ষকরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। তবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাসমূহ এসব কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। আর এই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে ওই দিনই আন্দোলনের বৃহত্তম কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার ধারণা প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণমুখী চিন্তার ফসল। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা। সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রবর্তনের মাধ্যমে সরকারি চাকরির বাইরে থাকা নাগরিকদের পেনশন স্কিমের আওতায় আনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি; কিন্তু সরকারের এমন মহৎ উদ্যোগ যখন প্রশংসিত হচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা না করে গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া স্বায়ত্তশাসনকে অবজ্ঞার শামিল।’

 

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী যেদিন সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন সেদিন এই ‘প্রত্যয়’ স্কিমটি ছিল না। হঠাৎ করেই একটি মহল নিজেদের সুযোগ-সুবিধা অক্ষুণ্ন রেখে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ওপর এ ধরনের একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছেন। আমরা আশা করব, অনতিবিলম্বে এই প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান সেশনজটমুক্ত শিক্ষার পরিবেশ অব্যাহত রাখতে সহায়তা করবেন।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS