ভিডিও

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় ড.ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল

প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৪, ০১:০৪ দুপুর
আপডেট: মে ২৩, ২০২৪, ০১:০৪ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের দণ্ড পাওয়া নোবেল জয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার কাকরাইলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল আগামী ৪ জুলাই শুনানির পরবর্তী দিন রেখে ওই দিন পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ১৬ এপ্রিল এ মামলার চার আসামিকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দিয়েছিল শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। সেই মেয়াদ শেষে নতুন করে জামিন চাইতে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হন ইউনূস।আদালতে ইউনূসের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে গত ১ জানুয়ারি রায় দেয় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।মামলাটিতে ইউনূসের সাজা হওয়ার পর দেশের পাশাপাশি প্রতিক্রিয়া এসেছে বিদেশ থেকেও। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এবং তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে চারজনকে জামিন দেয়। এর পর থেকে জামিনের মেয়াদ মামলার তারিখে তারিখে বাড়ানো হচ্ছে।

এর মধ্যে শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা নিয়ে হাই কোর্টে রিভিশন মামলা করেন কলকারখানা অধিদপ্তরের আইনজীবী। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট রুলসহ আদেশ দেয়।শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের সেই আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। ইউনূসসহ চারজন এবং রাষ্ট্রের পক্ষে ঢাকার জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগ আনা হয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS