ভিডিও

গভীর নিম্নচাপটি বিকেলের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, সতর্কসংকেত 

প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৪, ০২:৩২ দুপুর
আপডেট: মে ২৫, ২০২৪, ০২:৩২ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা আরও পরিণত হয়েছে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি সামান্য উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে শুক্রবার নিম্নচাপে পরিণত হয়, যার অভিমুখ ছিল বাংলাদেশের দিকে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর এখন উত্তাল। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আরও শক্তি অর্জন করে শুক্রবার মধ্যরাতে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। রোববার ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আর এ সময় উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মাছ ধরার যানগুলোকে গভীর সমুদ্রে না যেতে বলা হয়েছে। নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। নামটি ওমানের দেওয়া। এর অর্থ ‘বালু’। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, রোববার সন্ধ্যায় এ ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। রেমাল প্রবল ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। খুলনা থেকে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার মাঝামাঝি স্থানে এটি আঘাত হানতে পারে। অপেক্ষাকৃত বেশি এলাকা ধরে ঘূর্ণিঝড়টির বিস্তৃতি থাকতে পারে। সমুদ্র উপকূলের সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হয়, তখন তাকে ‘ঘূর্ণিঝড়’ বা ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বলা হয়। গতিবেগ যদি ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হয়, তখন তাকে প্রবল ‘ঘূর্ণিঝড়’ বলা হয়। আর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হয়, তখন সেটিকে ‘অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়’ বলা হয়। গতিবেগ ২২০ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে তা হয় ‘সুপারসাইক্লোন’।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগের বা সামনের অংশের প্রভাব রোববার সকাল থেকেই বোঝা যাবে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, শনিবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। রোববার থেকে বৃষ্টি আরও বাড়বে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা কতটুকু এ প্রশ্নের জবাবে আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সম্ভাব্য সময় রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে। এ সময় ভাটা চলবে। তাই এ সময় আঘাত হানলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা কম। তবে রাত ১২টা বা এর পরে আঘাত হানলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা আছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS