ভিডিও

পথে পথে রেমালের তাণ্ডবের চিহ্ন

পথে পথে রেমালের তাণ্ডবের চিহ্ন

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৪, ০৯:০৫ সকাল
আপডেট: মে ২৮, ২০২৪, ১১:৩৪ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

থেমে গেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তবে পথে পথে রেখে গেছে তাণ্ডবের চিহ্ন। মঙ্গলবার (২৮ মে) এখানে দমকা বাতাসের সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে স্থানীয় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

এ দিকে আবহাওয়া অধিদফতর ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখিয়ে যেতে বলায় সোমবার (২৭ মে) সন্ধ্যা থেকে মোংলা বন্দরের অপারেশন কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে।

অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট লাগাতার বাতাস ও বৃষ্টিতে মোংলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবের শিকার হয়েছেন। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও কয়েক হাজার চিংড়ি ঘের ডুবে গেছে। বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক হাজার কাঁচা বাড়ি-ঘর।

ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছ পালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি। ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কানাই নগর ও জয়মনি এলাকায় নদীর পানির তোড়ে বেড়ি বাঁধ উপচে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। রাগাতার বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বিভিন্ন এলাকা জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে জোয়ারের অতিরিক্ত পানি প্রবেশ করেছে। বনের মিষ্টি পুকুরগুলো তলিয়ে সেখানে লবণ পানি প্রবেশ করেছে।

এ ছাড়া দুবলা ফরেস্ট অফিসসহ বন বিভাগের বিভিন্ন স্থাপনা কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না জানান, মোংলা বন্দর ও সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি আগাম ব্যাপক প্রচার প্রচারণার কারণে। এ এলাকায় জীবনের ক্ষতি না হলেও মানুষের পানিসহ সম্পদের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে উঠতে বেশ সময় লাগবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS