ভিডিও

‘জিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার কেন করেনি বিএনপি, জানতে চায় জনগণ’

প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৪, ০৭:৪৮ বিকাল
আপডেট: মে ৩০, ২০২৪, ০৭:৪৮ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচার কেন করেনি তা জনগণ জানতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। 

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে পুরান ঢাকার ধোলাইখালের সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠে অসহায় হতদরিদ্র ১৩০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, আজ ৩০ মে দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। অর্থাৎ ৪৩ বছর আগে জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার পরিবারের কেউ জিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়নি। কোনো থানায় জিয়া পরিবারের কেউ কোনো এফআইআর করেনি। কেন তারা করেনি জনগণ সেটা জানতে চায়। বিএনপি তিন তিনবার ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বিএনপির নেতাদের বুকে সাহস থাকলে সেটার জবাব দিয়ে প্রমাণ করুন আপনারা সত্যিই জিয়াউর রহমানকে ভালোবাসেন।

 

তিনি আরও বলেন, জিয়া হত্যার বিচারের নামে যা হয়েছে সেটা কোর্ট মার্শাল। তখন কিছু মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। প্রকাশ্যে আদালতে বিচার হলে বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারতো সেদিন কী হয়েছিল, কারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। কারা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী বা কারা হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হতো।

সাঈদ খোকন বলেন, আমি বিশ্বাস করি এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য যেদিন উন্মোচিত হবে যারা আজকে বড় বড় কথা বলেন, যারা পান থেকে চুন খসলে জিয়ার মাজারে গিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয় তাদের অনেকেই এতে ফেঁসে যাবেন। কারও দিকে আঙ্গুল না তুলে আসুন আমরা সত্যটাকে উন্মোমোচন করি।

বিএনপির প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠের নামকরণের কথা উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, আজকে আপনারা যে মাঠে বসে আছেন এই মাঠের নাম আমি ইচ্ছা করলে পরিবর্তন করে দিতে পারতাম। আমি তা করিনি। জল সবুজে প্রকল্পের আওতায় ঢাকা দক্ষিণের যে ১৯টি পার্ক ও ১২টি মাঠ আধুনিকায়ন করেছিলাম, তার মধ্যে একটি এই মাঠ। ইতিহাস সাক্ষী থাকবে যার যেমন পাওনা, যার যা সম্মান তাকে সেটা দিতে হবে। সমালোচনা না করে উন্নয়ন করা সম্ভব। জনগণ রয়েছে মূল্যায়ন করার জন্য।

অনুষ্ঠানে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের আগে এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে প্রধানমন্ত্রী আপনাদের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য পাঠিয়েছেন। যাতে আপনাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS