ভিডিও

ক্ষমতার হালুয়া রুটির ভাগ-বাটোয়ারার জন্য বিএনপি গঠন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: জুন ০৭, ২০২৪, ০৬:০৪ বিকাল
আপডেট: জুন ০৭, ২০২৪, ০৬:০৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ক্ষমতার হালুয়া রুটি ভাগ-বাটোয়ারার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ যারা বিএনপি গঠন করেছিলেন, একাধারে ২২ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা তাদের আর সহ্য হচ্ছেনা। 

শনিবার (৭জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস স্মরণে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।


তিনি বলেন, ‘সংসদে ৭লক্ষ ৮৯হাজার কোটি টাকার বেশি বাজেট ঘোষণা হয়েছে। গত ১৫বছরে বাজেটের অংক সাড়ে ১১গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টার্নওভার বৃদ্ধি পাওয়া মানে সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভালো চলছে। দেশের বাজেটের আকার যখন বৃদ্ধি পায় তখন বুঝতে হবে দেশ উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে।

বিএনপি-জামাত ও কতিপয় বুদ্ধিজীবীর প্রতি প্রশ্ন রেখে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাজেট জনগণের কল্যাণে যদি না আসে, তাহলে গত ১৫ বছরে দারিদ্রতা ৪০শতাংশ থেকে নেমে ১৮.৭ শতাংশে কেমনে আসল? আর অতিদারিদ্রতা ২২শতাংশ ছিল, সেখান থেকে ৫.৭ শতাংশে কিভাবে নেমে এসেছে? এটি সম্ভবপর হয়েছে বাজেট বাস্তবায়নের কারণেই। এরা আসলে চোখ থাকতেও অন্ধ, কান থাকতেও বধির।


ওদের চোখ এবং কান যেন মহান আল্লাহ ঠিক করে দেন সেই প্রার্থনা করি।’ ছয় দফা প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পূর্ব বাংলার মানুষের মাঝে স্বাধীনতার পক্ষে মনন তৈরী করার জন্যই বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন। ছয় দফার পক্ষে মানুষ ব্যাপক সাড়া দেন। বঙ্গবন্ধু ছয় দফা নিয়ে সারাদেশ ঘুরে বেড়ান, যেখানেই বক্তব্য দেন সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হতো। ৬৯’এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু মুক্তি লাভ করেন।



তিনি বলেন, ‘ঊণসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পর ছয় দফার উপর ভিত্তি করেই দেশে সাধারণ নির্বাচন হয়। জনগণ ছয় দফার পক্ষেই ভোট দেন। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান ন্যাশনাল এসেম্বিলিতে মেজরিটি পার্টির নেতা নির্বাচিত হন। এরপর ক্ষমতা হস্তান্তরে যখন বাহানা করা হচ্ছিল তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ছয়দফা যখন ঘোষণা করেছিলাম তখন এটি আওয়ামী লীগ কিংবা শেখ মুজিবের দফা ছিল, নির্বাচনের পর এটি জনগণের দফায় পরিণত হয়েছে। জণগণই ছয় দফার পক্ষে রায় দিয়েছে। আমি ছয় দফার বাইরে কোনো আপোস করতে পারব না।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যদি আপোস করতেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নয়, বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রীত্বের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তিনি স্বাধীনতার লক্ষ্যেই এগিয়ে যান। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের বক্তব্যে তিনি পক্ষান্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।’

তিনি বলেন,  ‘২০১৪ ও ১৮ সালে সঙ্কট তৈরী করা হয়েছে। ২০২৪ সালেও সঙ্কট তৈরির অপচেষ্ঠা ছিল। কিন্তু সমস্ত সঙ্কট ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারণে আওয়ামী লীগ পরপর চারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণে তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেচে নিয়েছে।’ 

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS