ভিডিও

 আশা মির্জা ফখরুলের

ভারত সরকার বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশার মর্যাদা দেবে

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৪, ০৭:১৯ বিকাল
আপডেট: জুন ১০, ২০২৪, ০৯:৫৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,  আমাদের আশা ভারতের সরকার বাংলাদেশের মানুষের যে প্রত্যাশা, সেটির মর্যাদা দেবে।

সোমবার (১০ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ গভীর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। একদিকে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ আছে, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ আছে। এখন একটা ভৌগোলিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। ফারাক্কার পানি নিয়ে বহু খেলা হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে অথচ তারা তিস্তার পানি চুক্তির বিষয়ে কথা বলে না। 

‘বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে লংমার্চ করার ফলে আমাদের এমপি ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হয়েছেন’ এমনটা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, জনগণের প্রতিরোধের মুখে সেই টিপাইমুখ বাঁধ এখন বন্ধ আছে।

আন্দোলন না করলে কিছুই পাওয়া যাবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন আমাদের যে সরকার আছে, তারা তো প্রতিবেশীর কাছে পুরোপুরি মুখাপেক্ষী। বর্তমান সরকার নতজানু সরকার, তারা কোনমতেই ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলতে চায় না। ভারতের বিরুদ্ধে বলছি না, যেগুলো আমাদের জনগণের ইন্টারেস্ট আছে, সেগুলো নিয়ে তো কথা বলতেই হবে।

জলবায়ুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থা খুবই ভয়াবহ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, গবেষণা বলছে, ঢাকা হচ্ছে পৃথিবীর দ্বিতীয় দূষিত শহর অথচ আমরা সেই শহরেই বসবাস করছি। সবাই প্রচণ্ড রকমের একটা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন দার্শনিক, তিনি শুধু স্বপ্নদ্রষ্টা নন, সেই স্বপ্নগুলোকে বাস্তবায়িত করার জন্য অল্প সময়ের মধ্যেই কাজ করেছেন। এটা অবিশ্বাস্য, যাকে একটা মানুষও চিনতেন না, ১৯৭১ সালে হঠাৎ ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জনগণকে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করলেন। তাকে অস্বীকার করা যাবে না। এটা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে না। আমি তাদের (বিরোধী পক্ষ) ছোট করতে চাই না, সংগ্রামকে ছোট করতে চাই না। কারো অবদানকে ছোট করে দেখতে চাই না। জিয়াউর রহমানের যে অবদান, আমরা বারবার বলব, সেটি ধ্রুব সত্য। জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করা মানেই স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা।

 

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS