ভিডিও

আওয়ামী লীগ এখন ভোটাধিকার ও অবাধ নির্বাচনের প্রধান বাধা’

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৪, ০৯:২১ রাত
আপডেট: জুন ১২, ২০২৪, ০৯:২১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখন গভীর খাদে নিপতিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা। তারা বলছেন, সরকার ও সরকারি দল আওয়ামী লীগ জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে অপার সম্ভাবনায় দেশকে ব্যর্থ ও অকার্যকরী করে তুলছে। আওয়ামী লীগ এখন ভোটের অধিকার, অবাধ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বুধবার (১২ জুন) সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটেতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সংকট-উত্তরণের পথ’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভায় আয়োজন করা হয়।

গণতান্ত্রিক ধারার রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে বলে দাবি করেন বক্তারা। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেন, এ কারণে তাদের হাতে দেশ ও জনগণের কোনো গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নেই।

নেতারা বলেন, ডামি নির্বাচন-ডামি সরকারের দেশ পরিচালনার কোনো বৈধতা নেই। গোটা দেশটাই তারা লুটেরা মাফিয়াদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। গণ আন্দোলন-গণ অভ্যুত্থানের পথে এদের বিদায় দেওয়া ছাড়া দেশ ও জনগণকে রক্ষা করা যাবে না।

তারা আরও বলেন, এই সরকারকে বিদায় দিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যেমন নিশ্চিত করতে হবে, তেমনি বিদ্যমান অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতন্ত্রী রাষ্ট্র ব্যবস্থারও পরিবর্তন সাধন করতে হবে। সেই লক্ষ্যে তারা ঐক্যবদ্ধ গণসংগ্রাম জোরদার করারও আহ্বান জানান।

সভার সভাপতি বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, দেশে মাফিয়া-দুর্বৃত্তদের রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। 

তিনি বলেন, জবাবদিহিমূলক স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আজিজ-বেনজিরদের জন্ম হতে পারে না। সরকারকে ক্ষমতায় রাখার বিনিময়ে দুর্বৃত্ত, লুটেরা ও মাফিয়াদের যা খুশি তাই করার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। 

ফ্যাসিবাদী শাসন পাকাপোক্ত করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ দেশের বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাইফুল হক। বলেন, ভারতে নরেন্দ্র মোদির রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠার তৎপরতা ভারতের মানুষ যেমন রুখে দিয়েছে, তেমনি বাংলাদেশেও মানুষ আওয়ামী সরকারের দখলদারিত্বকে আর বরদাস্ত করবে না।

 

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS