ভিডিও

ফাঁকা ফেরিঘাট

চিরচেনা সেই চাপ নেই সদরঘাটে

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৪, ০৭:০৪ বিকাল
আপডেট: জুন ১৫, ২০২৪, ১২:৫৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে ঢাকা ছাড়ছেন লাখো মানুষ। এই ঈদযাত্রায় সড়ক ও রেলপথে যাত্রীদের ভিড় থাকলেও ব্যতিক্রম চিত্র রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। স্বাভাবিকের চেয়ে যাত্রীর উপস্থিতি কিছুটা বেশি হলেও তেমন ভিড় দেখা যায়নি ঘাটে। সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় ঠিক সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। এতে করে স্বাচ্ছন্দ্য নিয়েই ঢাকা ছাড়ছেন যাত্রীরা। শুক্রবার সকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, টার্মিনালের পন্টুনে বাঁধা আছে চাঁদপুর-ইলিশাগামী সারিসারি লঞ্চ। লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের বাড়তি কোনো চাপ নেই। এখনো কিছু কিছু লঞ্চে কেবিন খালি রয়েছে। যাত্রীর চাপ কম থাকায় লঞ্চ কর্মচারীদের তেমন কর্মব্যস্ততাও নেই।

মানুষদের যাত্রা নির্বিঘ করতে রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিআইডবিøউটিএ, জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে যাত্রীদের সেবা দিতে চালু করা হয়েছে বিশেষ লঞ্চ।

আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে ঘাটে যাত্রীর চাপ কিছুটা বাড়ায় বাড়ানো হয়েছে দৈনিক চলাচলকারী লঞ্চের সংখ্যা। লঞ্চমালিকরা বলছেন, যাত্রীর চাপ বাড়লে লঞ্চের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

ঢাকা-ভোলা রুটের এমভি গ্রীনলাইন-২ লঞ্চের কর্মী আতিকুজ্জামান জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে আমাদের যাত্রীর সংখ্যা একেবারে কমে গেছে। ঈদ উপলক্ষ্যে গত কয়েকদিনে যাত্রী বেশ বেড়েছে। সকাল সাড়ে ৮ টায় ভোলার উদ্দেশ্যে এম.ভি গ্রীনলাইন-১ পূর্ণ সংখ্যক যাত্রী নিয়ে ঘাট ছেড়েছে। আর গ্রীনলাইন-২ এর সব টিকেট বিক্রি শেষ। বেশিরভাগ যাত্রী অনলাইনে অগ্রিম টিকেট কেটে রেখেছেন। এছাড়া, ঘাটে এসেও অনেকে টিকেট কিনতে পেরেছেন। ভাড়ার বিষয়ে তিনি জানান, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত কোনো ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ভোলাগামী এমভি গ্রীনলাইন-২ এর যাত্রী আবরার জানান, অনলাইনে অগ্রিম টিকেট কেটে রেখেছিলাম। এখানে এসে যেমন ভিড় প্রত্যাশা করেছিলাম সেটা নেই। কোনো বাড়তি ভাড়াও লাগেনি।

ফাঁকা ফেরিঘাটে স্বস্তির ঈদযাত্রা : ঈদের আর মাত্র ১ দিন বাকি। ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে ঘাট এলাকায়। তবে ব্যস্ততা থাকলেও নেই চিরচেনা যানজট কিংবা ভোগান্তি। স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে ঈদযাত্রীরা।

শুক্রবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুট দিয়ে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা স্বস্তিতে পার হচ্ছেন। এছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের পশুবাহী ট্রাকও পার হচ্ছে। তবে সকালের দিকে গাড়ির সংখ্যা কিছু কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চাপ বেড়েছে।   ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্রোতও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আগের তুলনায় প্রত্যেক ফেরিতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় বেশি লাগছে। তবে কোনো ধরনের যানজট তৈরি হয়নি।

যাত্রীরা জানায়, এখন পর্যন্ত ঘরমুখো যাত্রীদের কোনো ধরনের ঝামেলায় পড়তে হয়নি। স্বস্তিতে ঘাট ও মহাসড়ক হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন। তবে কয়েক দিনের তুলনায় আজ যাত্রী এবং যানবাহনের সংখ্যা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাল্লা দিয়ে পার হচ্ছে মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহনও।

পুলিশ সুপার মো. গোলাম আজাদ খান জানান, ঘাট থেকে শুরু করে ৩৭ কিলোমিটার মহাসড়কে সাদা ও পোশাকধারী সহস্রাধিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার জানান, জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। লঞ্চ ঘাটে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ঈদের যে আমেজ তা লক্ষ করা যাচ্ছে। যাত্রীদের স্বস্তি নিশ্চিতে সবগুলো ঘাট সচল রয়েছে।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ডিজিএম শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ২৩টি ফেরি, ৩৩টি লঞ্চ ও ৪১টি স্পিডবোট চলাচল করছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS