বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলের পাশাপাশি অফশোর ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বিনিয়োগ নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আজ সোমবার রিয়াদে দুই দেশের রাজনৈতিক সংলাপে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছে। সংলাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দেন।

সংলাপে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদকে (জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল-জেবিসি) দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে তাদের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয় সংলাপে। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশের তেল আমদানির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।

হাছান মাহমুদ সৌদি আরবে ৩০ লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ায় দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। সৌদি আরবে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানিতে আরও স্বচ্ছতা আনা ও স্বার্থান্বেষী মহলের শ্রমিক হয়রানি বন্ধে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

সৌদি আরবে ব্যবসারত বাংলাদেশি প্রবাসীদের নিবন্ধনের বিশেষ সুযোগ দেওয়ার জন্য সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা চাইলে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সংলাপে গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা নিরসনকল্পে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংলাপে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বাংলাদেশ সফরের বিষয়েও আলোচনা হয়। পাশাপাশি আগামী বছর সৌদি-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর যথাযথ উদ্‌যাপনে যৌথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ কমিশনের বৈঠককে মন্ত্রী পর্যায়ে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর সম্মানে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।

দুই দেশের রাজনৈতিক সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাবেদ পাটোয়ারী, অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।