ভিডিও

ওবায়দুল কাদের

খালেদার মুক্তি আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি বিএনপি

প্রকাশিত: জুলাই ০৪, ২০২৪, ০৬:০৪ বিকাল
আপডেট: জুলাই ০৫, ২০২৪, ০১:১৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

আওয়ামী লীগ সাধারণ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে বিএনপি কখনো জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি ।

তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন করছে। কিন্তু সেই আন্দোলনে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিএনপি জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যু প্রাধান্য না দিয়ে একটি অরাজনৈতিক বিষয়কে রাজনৈতিক ইস্যু করার অপচেষ্টা করছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। তাদের মিথ্যাচার ও অপপ্রচার জনগণের সামনে প্রকাশিত হওয়ায় বিএনপি বারবার জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়েও তারা মিথ্যাচার করছে।

‘খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। তার মুক্তি কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। এটি আইনগত বিষয়। আইনগত বিষয়ে বিএনপি আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা না করে বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করছে’- এ প্রসঙ্গে যোগ করেন তিনি।

দলটির আন্দোলন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যখনই তথাকথিত আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামে তখনই তারা তাদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীকে সক্রিয় করে। বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অপচেষ্টা করে। আর এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে বিএনপির নেতারা মিথ্যাচার-অপপ্রচারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ায়।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যায়নি। আওয়ামী লীগ সবসময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে।

‘দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি ও তার দোসররা সর্বদা তৎপর থেকেছে। এটি বিএনপির জন্মগত রাজনৈতিক লিগ্যাসি। কারণ, অবৈধ ও অসাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী সামরিক স্বৈরাচারের হাতে প্রতিষ্ঠিত দল কখনো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে পারে না। বিএনপি যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করতে সক্ষম হতো বা তাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে পারতো তাহলে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সৎ সাহস দেখাতে পারতো। সেটা না থাকার কারণে বরাবরই বিএনপি সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, যারা গণতান্ত্রিক পন্থার ব্যত্যয় ঘটাতে সন্ত্রাস-সহিংসতাকে উসকে দেওয়ার পাঁয়তারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

 

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS