ভিডিও

পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ রাখতে ঢাবি ক্যাম্পাসে পুলিশ

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৪, ১০:১৩ রাত
আপডেট: জুলাই ১৬, ২০২৪, ০১:১১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।

সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার একটু আগে দোয়েল চত্বর এলাকা থেকে অভিযান শুরু করে তারা। এ সময় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের একটি গ্রুপ এবং পুলিশের সাঁজোয়া যান একসঙ্গে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের সামনের অবস্থান নেয়।

এরপর কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা হল প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জাভেদ হোসেনের উপস্থিতিতে হলের নিচে নেমে আসেন। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশকে দেখে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে।

ঢাবি ক্যাম্পাসে উপস্থিত ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতির পর ঢাবি এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

বিজয় একাত্তর হল ও ভিসি চত্বরের সংঘর্ষের পর বিকেল পাঁচটায় শহীদুল্লাহ হলের সামনে সংঘর্ষে জড়ায় কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ। এসময় উভয় পক্ষকে ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। কয়েকটি ককটেলও বিষ্ফোরিত হয় এসময়।

রাত সাড়ে আটটার দিকে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের সামনে সাংবাদিকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, ক্যাম্পাস থেকে বহিরাগতদের বের করে দেওয়ার জন্যই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি।

আহত শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, কত শিক্ষার্থী আহত হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান এখন আমরা বলতে পারি না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আহত সব শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরের পর ক্যাম্পাসে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। বিকেলে তা ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও চাঁনখারপুল এলাকায়।

দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা হয়। এ সময় আহত অবস্থায় ওই হল থেকে কয়েকজনকে বের হতে দেয়া যায়।

আর এই খবরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে বিজয় একাত্তর হলের দিকে লাঠি সোঁটা নিয়ে এগিয়ে যায় কোটা আন্দোলনকারীরা।

একই সময় কোটা আন্দোলনকারীদের সূর্যসেন হল লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে দেখা যায়।

এদিকে বেলা তিনটার দিকে রাজু স্মারক ভাস্কর্যে ছাত্রলীগের সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিতে জড়ো হয় ক্যাম্পাসে। এক পর্যায়ে, ছাত্রলীগও ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। এসময় শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।

 

পরে ছাত্রলীগের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় কোটা আন্দোলনকারীরা। এ সময় ভিসি চত্বরে অবস্থান নেয় ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা। বিচ্ছিন্নভাবে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। লাঠি পেটায় আহত হন কয়েকজন। এ সময় কর্মীদের থামানোর চেষ্টা করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।

এরপর বিকেলে ঢাকা মেডিকেল ও চাঁনখারপুল এলাকায় চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। দুপুর থেকে চলা এই সংঘর্ষে দুই পক্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদের অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS