ভিডিও

বিচারপতিদের পদত্যাগ চাইলেন বার সভাপতি খোকন

প্রকাশিত: আগস্ট ০৬, ২০২৪, ০৪:২২ দুপুর
আপডেট: আগস্ট ০৬, ২০২৪, ০৪:২২ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন বিচারপতির পদত্যাগ চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। নাম উল্লেখ না করে পদত্যাগ চাওয়া বিচারপতিদের বিরুদ্ধে শপথ ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। 

আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি তোলেন তিনি। 

পদত্যাগ না করলে সংশ্লিষ্ট বিচারপতিদের নাম প্রকাশ করা হবে বলে জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নেতা। সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির তিন সদস্যকে নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলন থেকে বিচারপতিদের পাশাপাশি রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তাদের পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে খোকন বলেন, গত কয়েক বছরে সুপ্রিম কোর্টসহ অনেক জায়গায় অনেক বিচারপতি যারা শপথ অনুযায়ী বিচার করেননি, তাঁরা এখানে (সুপ্রিম কোর্টে) রাজনীতি করেছেন। রিমান্ড দিয়েছেন, সাজা দিয়েছেন।


অতিউৎসাহী হয়ে শপথ ভঙ্গ করেছেন। অনেকে দুর্নীতি করেছেন।
সমিতির সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর অনেক সম্পদ গোপন ছিল। তাকে খালাস দিয়ে দিয়েছেন।


পাশাপাশি একই কোর্ট বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন টুকু, আমান উল্লাহকে সাজা দিয়ে দিয়েছেন। যারা এভাবে রাজনৈতিকভাবে বিচার করে শপথ ভঙ্গ করছেন, আমি দাবি জানাচ্ছি, আপনারা (বিচারপতিরা) বিচার করার অনপযুক্ত। যারা এসব করেছেন আমি অনুরোধ করব এক সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করার জন্য। না হলে আমরা তাদের নাম বলে দেব। তাদের বিচারপতি থাকার কোনো অধিকার নাই।

বিচারপতি হয়ে আওয়ামী লীগের মতো আচরণ করবেন এটা হবে না। যারা করেছেন তারা দয়া করে পদত্যাগ করুন। সেটা আপিল বিভাগের বিচারপতি হন বা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হন। 

রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পথ সুগম করার জন্য অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধানের ৭ (ক) (খ) অনুচ্ছেদ বাতিল করেন। আমরা কেউ জরুরি অবস্থা চাই না। ছাত্র-জনতা জরুরি অবস্থা মানবে না। আমরা মঈন ইউ আহমেদ ও ফখরুদ্দীন আহমদের মতো সরকার চাই না।

রাজনৈতিক বন্দিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, অনেকে জেলে আছেন। তাদের জামিনের কথা বলেছেন রাষ্ট্রপতি। শুধু জামিন না, তাদের ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ অনুসারে সরকারের নির্বাহী আদেশে সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। শুধু জামিন দিলে হবে না। কারণ পরে আবার তাদের হাজিরা দিতে হবে। সুতরাং নির্বাহী আদেশে সরকারের ক্ষমতা আছে। সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে আজকালের মধ্যে।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS