ভিডিও

বাতিল হচ্ছে গণশুনানি ছাড়া জ্বালানি-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আইন 

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৪, ১০:৫৭ দুপুর
আপডেট: আগস্ট ২২, ২০২৪, ০২:৩৬ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট)। অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে তিন এজেন্ডা উন্থাপন করা হবে।এরমধ্যে দু’টি অধ্যাদেশ এবং একটি চুক্তি সংক্রান্ত।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এদিন বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এবং ‘শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ উন্থাপিত হবে। এছাড়াও, বাংলাদেশ সরকার ও কাতার সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বি-পাক্ষিক পুঁজি-বিনিযোগ, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উন্থাপন করা হবে। উদ্যোক্তা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো-  জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়।  

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্র জানায়, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো রোধে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ পাস হতে পারে। পূর্বের এ সংক্রান্ত আইন থাকায় প্রয়োজন মনে করলেই সরকার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়াতে পারে। ওই আইনের কারণে সরকার গত কয়েক বছর ধরে কারণ ছাড়াই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করে আসছিলো।

জানা গেছে, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার ছিল বিইআরসির। দাম বাড়ানোর আবেদন পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই ও গণশুনানির আয়োজন করে ৯০ দিনের মধ্যে দাম নির্ধারণ করতে পারত তারা।এদিকে, গত ১৮ আগস্ট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বারবার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে জনগণের দুর্ভোগ বেড়েছে। তাই এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না, যা দুর্ভোগ আরও বাড়াবে। আমরা বাধ্য না হলে মূল্যবৃদ্ধি করব না। প্রয়োজন হলে কমিশন সবার সঙ্গে কথা বলে নীতিমালা অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নেবে।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS