ভিডিও

গাজী টায়ার কারখানায় আগুন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ড্রোন দিয়ে হতাহতের খোঁজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৪, ১১:১৬ রাত
আপডেট: আগস্ট ২৯, ২০২৪, ১০:৪৫ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

রূপগঞ্জ  প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী গ্রুপের টায়ার কারখানায় লাগা আগুন নির্বাপণের কাজ চলমান রয়েছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শারীরিকভাবে ভেতরে প্রবেশ করে হতাহতের খোঁজ করতে পারছে না ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

এজন্য ড্রোন ব্যবহার করে বাইরে থেকে হতাহতের অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসীম এ তথ্য জানান। ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা জানান, এখনো আগুন নির্বাপণের কাজ চলমান। ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শারীরিকভাবে ভেতরে প্রবেশ করে হতাহতের খোঁজ করা যাচ্ছে না। এজন্য ড্রোন ব্যবহার করে বাইরে থেকে হতাহতদের অনুসন্ধান করা হচ্ছে। তবে ড্রোন ব্যবহার করে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত চিহ্নিত করা যায়নি।

এ সময়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তালহা বিন জসীম আরও জানান, ফিজিক্যালি সার্চ করার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হবে। ভবনের লোড ক্যাপাসিটির বিষয়ে ওই কমিটি প্রতিবেদন দিলে তার ভিত্তিতে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা হবে। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমান  বলেন,প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর এক্সপার্ট টিমকেও ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, ‘ লোকালি যারা দক্ষ আছে তারা যদি ব্যর্থ     

হন, তাদের ইক্যুপমেন্টগুলো দিয়ে যদি উদ্ধারকাজ চালাতে সক্ষম না হয় তাহলে ন্যাশনালি সাপোর্ট আমরা নেব। স্বাস্থ্য বিভাগের অভিজ্ঞদের পরামর্শও নেবেন তারা।কমিটির প্রধান হামিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে ঢাকার শান্তিনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার  করার পর ‘২৫ আগস্ট কিছু অনুপ্রবেশকারী কারখানাটিতে ঢুকে লুটপাট চালায়, তারা ভবনটির বিভিন্ন তলায় ছড়িয়ে পড়ে। রাতের কোনো একটা সময় ভবনটিতে আগুন দেওয়া হয় নিচতলায়।

তখন অনেকে ভবনটিতে আটকা পড়েন, তারা মারা গেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। নিখোঁজদের ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তালিকা করা হয়েছে জানালেও কতজন তালিকাভুক্ত হয়েছেন সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা জানাননি তিনি।

হামিদুর বলেন, যারা এসে বলেছেন তার স্বজন নিখোঁজ আছেন তাদের নাম-ঠিকানা আমরা লিপিবদ্ধ করছি। আমরা সঠিক সংখ্যা বলতে পারছি না। তবে আগুনের সময় ভবনটিতে শতাধিক ব্যক্তি ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

যদিও নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি। কিন্তু এখানে একজন মানুষ থেকে থাকলেও সেটি গুরুত্ব সহকারে নেব। তদন্ত কমিটির প্রধান আরও জানান, ফায়ার সার্ভিসের ড্রোন, বড় মই (টিটিএল) দিয়ে ভবনের ভেতরে একাধিকবার অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। ভবনটির চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ তলা পর্যন্ত মেঝে ধসে পড়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো মরদেহের সন্ধান মেলেনি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS