ভিডিও

প্রতিদিন ময়লার দুর্গন্ধ শুঁকে শহরে প্রবেশ করতে হচ্ছে পূর্ববগুড়ার মানুষের

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৪, ০৬:৩৪ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪, ০১:৫১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : ময়লা-আবর্জনার দুর্ভোগ আর দুর্গন্ধই যেন বগুড়াবাসীর নিত্যসঙ্গী। দেশের সর্ববৃহৎ এই পৌরসভার প্রায় ১০ লাখ মানুষের জন্য নেই নিজস্ব কোন ময়লার ভাগাড়। প্রতিদিন প্রায় ২শ’ টন বর্জ্য পরিবহনে পৌরসভাটির আছে মাত্র তিনটি নিজস্ব ট্রাক। শহরের বেশিরভাগ প্রবেশ মুখ ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়সহ যত্রতত্র দিনভর ময়লা ফেলা ও তা সময়মত না পরিস্কার করায় আবর্জনার শহর এখন বগুড়া।

শহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা যেন ময়লার স্থায়ী ও অস্থায়ী ভাগাড়। বিশেষ করে ফতেহ আলী বাজারের প্রবেশ মুখ, চাঁদনী বাজার মোড়, সাতমাথা, স্টেশন রোড, রেলওয়ে স্টেশনের পূর্ব পাশের সড়ক, কারমাইকেল রোডে কৃষি ফার্মের সামনে, চেলোপাড়া, এসপি ব্রিজের পূর্বপাশসহ শহরের বেশিরভাগ জায়গাতেই থাকছে ময়লা, আবর্জনার স্তুপ।

এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে আছেন পূর্ব বগুড়াবাসী। প্রতিদিন ময়লার দুর্গন্ধ শুঁকেই তাদের প্রবেশ করতে হচ্ছে মূল শহরে। আর এ দুর্ভোগ নতুন নয়, নিত্যদিনের। বিশেষ করে পূর্ব বগুড়াবাসীর শহরে প্রবেশের অন্যতম সড়ক এসপি ব্রিজের পূর্বপাশের মুখে করা হয়েছে অস্থায়ী ময়লার ভাগাড়।

এখানে দিনভর ফেলা হয় পৌরসভার ৬, ১১ ও ২০নং ওয়ার্ডের ময়লা ও আবর্জনা। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে পূর্ব বগুড়াবাসীর প্রধান প্রবেশপথ ফতেহ আলী ব্রিজ নির্মাণ কাজ চলছে। পথটি বন্ধ থাকায় এসপি ব্রিজ হয়েছে এই অঞ্চলের মানুষের শহরে প্রবেশের মূল মাধ্যম। আর এখানে ময়লা ফেলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ানো হচ্ছে। এই দুঃসহ দুর্ভোগে আছেন পূর্ব বগুড়ার তিন উপজেলার মানুষও।

এখানে ময়লা ফেলতে আসা সিবিও (কমিউনিটি বেইজ অর্গানাইজেশন)’র দুই ভ্যানচালক বলছেন, পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডের ময়লা এখানে ফেলা হয়। এসব ময়লা প্রতিদিন একবার ট্রাকে করে পরিস্কার করার কথা থাকলেও তিনদিন হলো কোন ময়লা সরানো হয়নি।

ফলে অস্থায়ী ভাগাড়ের ময়লা এখন রাস্তার ওপর স্তুপ হয়ে পড়েছে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শহরের আসা মানুষ এসব ময়লার দুর্গন্ধ শুঁকেই শহরে প্রবেশ করছেন। তার ওপর এখানে প্রতিদিন শূকর চড়ানোর কারণে ময়লাগুলো সড়কের মাঝে চলে আসে দুর্গন্ধ আরও বাড়িয়ে দেয়।

অথচ ব্রিজের পশ্চিম পাশেই রয়েছে বগুড়া মহিলা কলেজ, পূর্ব পাশেই রয়েছে একটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, আরেকটু সামনে বেসরকারি শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রয়েছে কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ময়লার দুর্গন্ধ নিয়েই চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের শিক্ষা কার্যক্রম। এমন দুরাবস্থাতেও জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় বিষয়টি দেখার কেউ নেই।

জানতে চাইলে ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোস্তম আলী বলেন, তিন ধরে জায়গাটি থেকে ময়লা সরানো হচ্ছে না এটি তার জানা নেই, দ্রুতই তিনি ময়লা পরিস্কারের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS