ভিডিও

কক্সবাজারে কনস্টেবল হত্যা মামলায় যুবকের ফাঁসি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪, ০৭:২৬ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪, ০৭:২৬ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট পুলিশের কনস্টেবল মো. পারভেজ হত্যা মামলায় আবু তাহের (৩২) নামের একজনকে ফাঁসি ও দুইজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মামলায় অপর চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। 

 

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত-১ম আদালতের বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ তিনজন কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। 

মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম আবু তাহের। তিনি কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়া আবুল কালামের ছেলে। 

সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, শহরের বাদশাঘোনা নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহ আলমের ছেলে আব্দুল মালেক ও ঘোনারপাড়া বড় কবরস্থান এলাকার শাহ আলম সওদাগরের ছেলে মো. খালেদ খোকন। মামলার শুরু থেকে পালাতক রয়েছে সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. খালেদ খোকন।

রাষ্টপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোজাফফর আহমদ হেলালি তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামি আবু তাহেরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় ফাঁসি এবং ৩৯৫ ধারায় ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। অপর দুই আসামিকে দণ্ডবিধির ৩৯৫ ধারায় ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন বিজ্ঞ আদালত।

সাক্ষ্য প্রমাণে অপর চারজনের বিরুদ্ধ অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে ২৩ জুলাই কক্সবাজার শহরের জাম্বুর মোড় এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ট্যুরিস্ট পুলিশের কনস্টেবল মো. পারভেজ। এ ঘটনায় ট্যুরিস্ট পুলিশের আরেক কনস্টেবল রাজিব চাকমা বাদি হয়ে একইদিন আবু তাহেরসহ ৭ জনকে আসামি করে কক্সবাজার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ৪৬ (জিআর ৬৮২/২০১৫)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী একই বছর ২৪ নভেম্বর অভিযুক্ত ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন। ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর চার্জ গঠন করে বাদী, চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে আজ এ রায় ঘোষণা করেন। 

আসামিপক্ষের আইনজীবী নুরুল মোস্তফা মানিক বলেন, আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS