ভিডিও

আনসারদের হামলায় নিহত শাহিনের ন্যায় বিচার দাবি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৪, ০১:৫৭ দুপুর
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৪, ০১:৫৭ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

নিউজ ডেস্ক:  আনসারদের হামলায় নিহত শাহিনের ন্যায় বিচার দাবি করেছেন পরিবার থেকে। সেই সঙ্গে পরিবারের খরচ যোগাতে ছেলেকে চাকরির সুযোগ করে দেয়ারও দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা।

ঢাকায় সচিবালয় ঘেরাও করে ২৫ আগস্ট ঢাকায় উপদেষ্টাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আটকে রেখে আন্দোলন করছিলেন আনসার সদস্যরা। রাতে আনসারদের দাবি দওয়া জানতে সচিবালয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের সাথে ছিলেন রাজধানীর কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী হাসান আহমেদ বিশাল।

ছেলে সচিবালয়ে গেছে এই খবরে বাবা শাহিন হাওলাদারও ছুটে যান সচিবালয়ে। গিয়ে দেখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর আনসার সদস্যরা হামলা করছেন। তখন তিনি তা ঠেকাতে গেলে তাকেও মারাত্মকভাবে আহত করা হয়। তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহিন। পরে ওই দিনই তার মরদেহ নেওয়া হয় গ্রামের বাড়ি মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাজিকরখন্ডে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।

জানা যায়, নিহত শাহিন গাড়িচালক ছিলেন। থাকতেন পরিবারসহ ঢাকাতেই। বিএনপি সমর্থিত হওয়ায় আওয়ামী লীগের সময় এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন।

নিহতের ভাই শিপন হাওলাদার বলেন, আনসাররা আমার ভাইয়ের মাথায় আঘাত করে। এতে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে ওই দিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মাথায় অস্ত্রোপচার হয়। তারপর আইসিইউতে থাকার পর মৃত্যু হয় তার।

ছেলে হাসান আহমেদ বিশাল বলেন, আমি ছাত্রদের সঙ্গে ছিলাম। সেই খবর শুনে বাবা ছুটে আসেন। পরে সেখানে এসে বাবা দেখেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে মারধর করছেন আনসার সদস্যরা। হাসনাত আব্দুল্লাহকে ঠেকাতে গেলে সেখানে তাকেও মারধর করা হয়। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।

স্ত্রী দীপ্তা বেগম বলেন, আনসার সদস্যরা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই। আর পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য একটি চাকরির দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে।

মা কুলসুম বেগম বলেন, আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের যেন বিচার হয়। আমার ছেলের পরিবার চলবে কীভাবে, সেজন্য একটা চাকরির ব্যবস্থা হলে ভালো হয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS