ভিডিও

“ছাত্রদের দোষ নেই এখানে। ছাত্রদের আমি হয়রানি করতে চাই না।”

অধ্যক্ষকে হাতুড়িপেটা করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়ার ঘটনায় মামলা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৪, ০৩:২৮ দুপুর
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৪, ১১:২২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে কলেজ অধ্যক্ষের কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার ঘটনায় ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে যদুন্দী নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান বাদী হয়ে সালথা থানায় মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন থানার ওসি মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে কলেজের পাশের বাসিন্দা যদুনন্দী এলাকার কাইয়ুম মোল্যাকে। এ ছাড়া স্থানীয় কামরুল গাজী, লালন, মনির ও মিয়াসহ ৯ জনকে আসামি হয়েছেন। তবে এ মামলায় কলেজের কোনো শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার সকালে অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান ও তার ছেলে কলেজে প্রবেশ করার সময় তাদের জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে একটি বাগানের ভেতর নিয়ে যায় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী ও কয়েকজন ছাত্র।

এ সময় তাদের বাবা-ছেলেকে হাতুড়ি গিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে অধ্যক্ষের কাছ থেকে জোর করে পদত্যাপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়।

এছাড়া জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় মামলার পর শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ওবায়দুর রহমান বলেন, “আমাকে হাতুড়িপেটা করে আমার কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে সই নেন কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। এতে নেতৃত্ব দেন কাইয়ুম মোল্যা, কামরুল গাজী ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী।

“আমি ইচ্ছা করে পদত্যাগপত্রে সই করিনি। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিতে তাদের নামে মামলা করেছি। আশা করি ন্যায়বিচার পাবো।”

ছাত্রদের মামলায় আসামি না করার বিষয়ে তিনি বলেন, “ছাত্রদের দোষ নেই এখানে। ছাত্রদের ব্যবহার করেছে ওই নেতারা। তাই ছাত্রদের আমি হয়রানি করতে চাই না।”

ওসি ফায়েজুর রহমান বলেন, “মামলাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS