ভিডিও

নারায়ণগঞ্জে দেওয়ানবাগীর মাজারে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৪, ০৯:০৬ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৪, ০৯:০৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার দেওয়ান মনোহর খাঁর বাগে অবস্থিত দেওয়ানবাগী পীরের মাজারে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

 

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা থেকে ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু হয়। একপর্যায়ে আস্তানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে আশপাশের এলাকার লোকজন আগুন নেভায়।

এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে বিতর্কিত দেওয়ানবাগী পীরের জন্মবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি নেয় তার অনুসারীরা। এ সময় দেওয়ানবাগী পীরের আস্তানার পাশে দেওয়ানবাগ জামে মসজিদের মুসল্লিরা বাধা দিলে পীরের অনুসারীরা মুসল্লিদের ধাওয়া করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

 

শুক্রবার সকাল ৭টায় আশপাশের ১০ গ্রামের মুসল্লিরা বিভিন্ন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিতর্কিত দেওয়ানবাগী পীরের আস্তানায় হামলা চালায়। ভাঙচুর, লুটপাট শুরু করে। একপর্যায়ে তারা আস্তানায় আগুন লাগিয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে জেলা পুলিশের এএসপি বিল্লাল হোসেন ও বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

মদনপুর এলাকার বাসিন্দা মো. বাবলু জানান, দেওয়ানবাগীর পীরের ওপর অনেক আগে থেকেই এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত ছিল। অনেক সময় এখানে তার ওরস হতো। তখনও মানুষ এখানে হামলা করত। এতে তাদের কার্যক্রম অনেক দিন বন্ধ ছিল। আজকে সকালে আমাদের এলাকার জনগণ একত্র হয়ে এখানে হামলা করে।

একই এলাকার সাইফুল ইসলাম বলেন, দেওয়ানবাগী আস্তানা এখান থেকে উৎখাত করতে হবে। এই অভিশাপ এখান থেকে না সরানো পর্যন্ত আমরা থামব না। যেভাবেই হোক এই আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে হবে।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘সকালে দেওয়ানবাগীর আস্তানায় কে বা কারা হামলা করে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। এখন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রায় ৩০ বছর আগে দেওয়ানবাগী পীর মাহবুব-এ-খোদা ইসলাম নিয়ে নানা বক্তব্য দিয়ে বিতর্কিত হন। এক সময় তিনি নিজেকে খোদাও দাবি করেন। এ নিয়ে আলেম-ওলামাদের মধ্যে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। সে সময় দেওয়ানবাগী পীরের অনুসারীদের সঙ্গে এলাকাবাসীসহ মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় দেওয়ানবাগী পীরের অনুসারীদের গুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS