ভিডিও

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সড়ক, ড্রেনেজ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বেহাল দশা

ভোগান্তিতে মানুষ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৪, ১১:০০ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৪, ১১:০০ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে ১২টি ওয়ার্ডে সড়কের পিচ ঢালাইসহ ইটের খোয়া উঠে গিয়ে খানা-খন্দকে তৈরি হয়েছে মরণফাঁদ। শুধু তাই নয় সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় হুমকির মুখে পড়েছে শহরের পরিবেশ। এছাড়াও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।

১৯৯৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও পৌরসভাকে ‘ক’ শেণিতে উন্নীত করা হয়। পৌরসভার ১৩৫ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে পাকাকরণ হয় ৮৫ কিলোমিটার রাস্তা ও ৫০ কিলোমিটার রাস্তা এখনও কাঁচা রয়ে গেছে। তবে পাকা সড়কের প্রায় ৮০ শতাংশ রাস্তার বর্তমানে বেহাল অবস্থা।

চলতি বর্ষা মৌসুমে দেখা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ও যান চলাচলে রাস্তার পিচের ঢালাই ও ইট উঠে গিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টিতেই গর্তগুলোতে পানি জমে থাকে। গাড়ি নিয়ে চলাচলের সময় এসব গর্তের কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন অনেকে। চলাচলকারীদের জন্যও রাস্তাগুলো দুর্ভোগের অন্যতম কারণ হয়ে রয়েছে।

এছাড়া পানি নিষ্কাশনের জন্য ভালো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জজকোর্ট চত্বরসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে করে পানি বাসাবাড়িতেও ঢুুকে যায় বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। অন্যদিকে শহরের প্রবেশদ্বার সড়ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওয়ার্ডে সড়কের পাশেই যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তুপের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ জনসাধারণ।

স্থানীয়রা বলছেন, দুর্নীতি আর অনিয়মের কারণে দীর্ঘ ১০-১৫ বছর ধরে পৌরসভার রাস্তাঘাটের অবস্থা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার কোনো উন্নয়ন হয়নি। এমন অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা পরিবেশে বসবাসে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এবিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে অবগত করলেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।

তবে পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে ইতোমধ্যে ৬৩ কোটি টাকার এস্টিমেট তৈরি করা হয়েছে। সেটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থাসহ দ্রুত সড়কগুলো সংস্কার করার কথা জানিয়ে পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, সংস্কারের জন্য রাস্তাগুলো শনাক্ত ও সংস্কার এবং নির্মাণ কাজের সাম্ভব্য ব্যয়ের পরিমাণ নির্ণয় করা হয়েছে। এটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের(এলজিইডি) মাধ্যমে যেন কাজগুলো করা যায় সে চেষ্টা করা হচ্ছে।

এছাড়াও ড্রেনেজ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পৌরসভার কিছু গাড়ি নষ্ট হওয়ায় ও জনবল কম থাকার কারণে কার্যক্রম বিঘ্ন হয়েছে। গাড়িগুলো মেরামত করা হচ্ছে। সেগুলো ঠিক হলে পৌরসভাকে মানসম্মত অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS