ভিডিও

বগুড়ার ধুনট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বেহাত, নির্বিকার প্রশাসন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪, ০২:১০ দুপুর
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪, ০২:৩৪ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট সরকারি নইম উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে ৯ দশমিক ৮৮ একর সম্পত্তির মধ্যে প্রায় এক একর সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে তদারকির অভাবে বেহাত হয়ে আছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই সম্পত্তি যে যার মতো করে অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ধাপে ধাপে বেদখল হওয়া সম্পত্তির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।

বিদ্যালয়ের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ধুনট শহরের প্রাণকেন্দ্রে ১৯৪১ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করা হয়। প্রতিষ্ঠালগ্নে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী দানশীল ব্যক্তিরা বিদ্যালয়ের নামে স্বেচ্ছায় ৯ দশমিক ৮৮ একর জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। এরমধ্যে ১ দশমিক ৬৮ একর জমির ওপর বিদ্যালয়ের আধুনিক মানের ভবনটি দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কার্যালয় ও শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ রয়েছে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন বেশকিছু জায়গা স্থানীয়রা কৌশলে বেদখল করে আছেন। সেখানে আধাপাকা বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। সেই সম্পত্তি দীর্ঘদিনেও দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ অবস্থায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের পশ্চিম পাশে খেলার মাঠটিও ধাপে ধাপে বেদখল হতে থাকে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে খেলার মাঠের দক্ষিণ ও পূর্ব সীমানার জায়গা দখল নিয়ে সেখানে আধাপাকা ২৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির লোকজন ২০০৪ সাল থেকে সরকারিকরণের আগ পর্যন্ত খেলার মাঠ দখল প্রক্রিয়ায় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করেছেন। তবে মাঠের বড় একটি অংশ বেদখল হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে।

তখন সরকারি দলের নেতাকর্মীরা বিদ্যালয় মাঠের জায়গা নিজেদের নামে দখলে নিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অংকের টাকায় অবৈধভাবে হস্তান্তর করেছেন। মাঠের দুই পাশের জায়গা বেদখল হওয়ায় সেখানে খেলার কোন পরিবেশ নেই। এছাড়া বিদ্যালয়ের নামে চরপাড়া ও উল্লাপাড়া গ্রামের ফসলি জমিও বেহাত হয়ে আছে। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বেহাত হওয়া সম্পত্তি উদ্ধারে কোন তৎপরতা নেই।  

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) তফিজ উদ্দিন বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের আগে বিদ্যালয়ের প্রায় এক একর সম্পত্তি বেহাত হয়েছে। এই সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। কিন্ত আজও সম্পত্তি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়ের সভাপতি আশিক খান বলেন, সরকারিকরণের আগে বিদ্যালয়ের জায়গা বেদখল হয়েছে। অবৈধ দখলদারদের নামে প্রধান শিক্ষককে নোটিশ করতে বলেছি। স্বেচ্ছায় দখল না ছাড়লে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS