ভিডিও

নওগাঁর মহাদেবপুরে ৫ হাজার বস্তায় আদা চাষ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৪, ০৭:৪০ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৪, ০৭:৪০ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর মহাদেবপুরে ৫ হাজার বস্তায় মশলাজাতীয় ফসল আদা চাষ করে এলাকায় আলোরণ সৃষ্টি করেছেন জাহিদুল ইসলাম। প্রায় প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আদা ক্ষেত দেখতে আসছেন বিভিন্ন কৃষক। অল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়াই আদা চাষে দিন দিন কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছে।

উপজেলার বামনওড়া গ্রামে কৃষক জাহিদুল ইসলাম জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় তার বাড়ির পাশে ৩৩শতক পতিত জমিতে সিমেন্টের বস্তায় আদা চাষ করেন। চলতি আদাচাষ মৌসুমের এপ্রিল মাষের শুরুর দিকে পরিমাণমত বেলে দোআঁশ মাটি, বয়লারের ছাই, বালি, রাসানিক ও জৈব্য সার মিশ্রয়ন করে ৫ হাজার সিমেন্টের বস্তায় প্যাক করেন।

এপ্রিল মাসের মাঝামাঝির দিকে প্রতিটি বস্তায় ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম বারি-১ ও ২ জাতের আদা বীজ বপন করেন। আদার গাছ কিছুটা বড় হলে বীজ আদা গাছের গোড়া থেকে কেটে বাজারে বিক্রয় করেন। এতে করে বীজ আদা ক্রয়ের খরচ কিছুটা কমে যায়। প্রতিটি বস্তায় আদা চাষে জাহিদুল ইসলামের খরচ পড়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

গতকাল সোমবার বিকেলে সরজমিনে গেলে দেখা যায়, প্রতিটি বস্তায় ২০ থেকে ২৫টি করে আদা গাছের কুশি রয়েছে। আদা চাষি জাহিদুল ইসলাম জানান, পৌষ-মাঘ মাসে বাজারে বিক্রয় করলে ৬ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৭ লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন তিনি। তবে বীজ হিসেবে বৈশাখ মাসে এ আদা বিক্রি করলে ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকা লাভ হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ জানান, চলতি আদা মৌসুমে মহাদেবপুর উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে আদা চাষ হয়েছে। বারি-১ ও ২ জাতের ব্যতিক্রর্মী আদা চাষি জাহিদুল ইসলাম।

এ জাতের আদা উচ্চ ফলনশীল ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাত। মশলাজাতীয় ফসল আদা চাষ লাভজনক হওয়ায় এ উপজেলার কৃষকদের দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আদার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS