ভিডিও

সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে গণবিয়ের আয়োজন, যা জানাল কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪, ১০:৪৭ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৭:১৩ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

গণবিয়েতে পাত্রী যেকোনো প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করলেও পাত্রকে অবশ্যই জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী হতে হবে। গণঅভ্যুত্থানে “দ্বিতীয় স্বাধীনতা” অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে আয়োজন করা হয়েছে “গণবিয়ের”। এই আয়োজনের মধ্যে আরও রয়েছে স্বাধীনতা ভোজ, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ-২ গ্রুপে দেওয়া এক পোস্টে এমন কথা জানানো হয়। জানা গেছে, গণবিয়েতে পাত্রী যেকোনো প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করলেও পাত্রকে অবশ্যই জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী হতে হবে। গণবিয়েতে বর-কনেকে কোনো খরচ বহন করতে হবে না।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে ২০ সেপ্টেম্বর স্বাধীনতা ভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারণ করা হয়। এ বিষয়ে আয়োজক আল আমিন সরকার বলেন, “২০ সেপ্টেম্বর জহুরুল হলের স্বাধীনতা ভোজ ২.০ কে উপলক্ষে গণবিবাহের আয়োজন করতে চাই। যারা ক্যাম্পাসের পাত্র-পাত্রী বিয়ে করতে ইচ্ছুক, তারা চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন। সব খরচ আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বহন করব। ফিল ফ্রি টু ইনবক্স মি।”

এদিকে গণবিয়েকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে পাত্র-পাত্রী সন্ধানের হিড়িক পড়ে গেছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের সিভি পোস্ট করছেন। নিজের গুণাগুণ তুলে ধরে কেমন পাত্র বা পাত্রী চান, সেই চাহিদামত পোস্ট দিচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, “আমাকে অনেক ছেলেই প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু আমি হারাম সম্পর্কে জড়াতে চাই না। তাই মনের মতো কাউকে পেলে পরিবারের সম্মতিতেই আগামী ২০ সেপ্টেম্বর বিয়ে করতে চাই।”

বিয়ে প্রত্যাশী জহুরুল হক হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, নিঃসন্দেহে এটি ভালো উদ্যোগ। নিজের চরিত্রের হেফাজত করতে বিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমাধান। অনেকেই সিভি দিচ্ছেন পছন্দের পাত্রের খোঁজে। তাদের মধ্য থেকে কাউকে পছন্দ হলে আমি আমার পরিবারকে জানিয়ে বিয়েটা করে নিতে চাই।

এদিকে এই গণবিয়ের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফারুক শাহ। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় গণবিয়ের জায়গা না। আমরা এটার অনুমতি দিতে পারি না। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা এখনো অনুমতি চাইতেও আসেনি। অনুমতি চাইলেও এমনটা সম্ভব না।”

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা ঠিক করতে, ক্লাসের জন্য প্রস্তুত করতে স্বাধীনতা ভোজের ব্যবস্থা করছি। এ দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলার আয়োজনও থাকবে। দিনটিতে নবীন শিক্ষার্থীদের হলে বরণ করা হবে। তাছাড়া সিনিয়র শিক্ষার্থী যারা হল থেকে বিদায় নেবে তাদের জন্য বিদায় অনুষ্ঠানের মতোই।”



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS