ভিডিও

বগুড়ায় ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত সৈয়দপুরের দুই শ্রমিকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৮:৫৭ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৯:০৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে মজুমদার প্রোডাক্টসের কারখানার যন্ত্রাংশ মেরামতকালে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তেলের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত চার শ্রমিকের মধ্যে দুইজনের বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের অফিসার্স কলোনী ও হাতীখানা উর্দূভাষী (বিহারী) ক্যাম্প এলাকায়। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের হারিয়ে তাদের সকলের বাড়িতেই এখন চলছে শোকের মাতম।

গতকাল শুক্রবার সকালে সরেজমিনে নিহত ইমরান হোসেন ওরফে লাড্ডুর (৩২) বাড়িতে গিয়ে  দেখা যায় কান্নার রোল। পরিবারের সদস্য একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। বিলাপ করছেন নিহতদের স্বজনরা। এ সময় তাদের কান্নায় আশপাশের এলাকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার খবর পেয়ে আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীরা তাকে শেষবারের মতো দেখার জন্য ছুঁটে এসেছেন। এ সময় সেখানে পরিবারের সদস্যদের কান্নায় আর আহাজারি দেখে উপস্থিত অনেকেই চোখের পারি ধরে রাখতে পারেননি। এ সময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত ইমরান হোসেন ওরফে লাড্ডু সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা ক্যাম্পের মো. খলিলের ছেলে। তার স্ত্রী, তিন ছেলে  ও এক  মেয়ে। তিনি (লাড্ডু) পেশায় একজন অত্যন্ত দক্ষ ট্যাঙ্ক মিস্ত্রি ছিলেন। তার আয়েই চলতো পুরো পরিবারটি। ইমরানের  হোসেন  লাড্ডুর ছোট ভাই  মো. ওমর জানান, প্রায় ২০/২২ দিন আগে কাজ করতে বগুড়ার শেরপুরে যান তার ভাই ইমরান হোসেন ওরফে লাড্ডু। তার এক সহকর্মী মাধ্যমে প্রথম জানতে পারেন তার ভাই কাজ করার সময় ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে মারা গেছেন। আর ভাই মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে।

ইমরান হোসেন ওরফে লাড্ডুর সঙ্গে ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত হন মো.  সাঈদ (৩৮)।  সেও একই এলাকার মৃত সোলেমানের ছেলে। তার বাড়িতে গিয়েও একই দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। সেখানেও পরিবারের সদস্যদের চলছে শোকের মাতম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাঈদরা চার ভাই ও এক বোন। অন্যান্য ভাই বোনদের বিয়ে হয়ে আলাদা থাকেন তারা। কিন্তু অবিবাহিত সাঈদ তঁর বৃদ্ধা মার সঙ্গেই থাকেন এখন।

সাঈদের ছোট মো. জাহিদ জানান, ইমরান হোসেন ওরফে লাড্ডু ও সাঈদ এক সাথেই গত ২০/২২ দিন আগে কাজের জন্য বগুড়ার শেরপুরে গিয়েছিলেন। সৈয়দপুর উর্দূভাষী ক্যাম্প উন্নয়ন কমিটির নেতা মো. মোনায়েম জানান, ইমরান একজন অত্যন্ত দক্ষ ট্যাঙ্ক মিস্ত্রী ছিলেন। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় তারা বড় বড় মিল কারখানায় ট্যাঙ্ক মিস্ত্রীর কাজ করেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS