ভিডিও

পেঁয়াজ রপ্তানিতে শর্ত থেকে সরে দাঁড়াল ভারত হিলি স্থলবন্দরে দাম কমার সম্ভাবনা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৯:৩১ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪, ১২:৫১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে নির্ধারিত এলসি মূল্য তুুলে নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে সরকারের মিনিষ্ট্রি অফ কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্র্রি ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্স ডাইরেক্টেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড এই সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারী করে। সংস্থাটির ডাইরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেডের এক্স-অফিসিও এডিশনাল সেক্রেটারী সন্তোষ কুমার সারাঙ্গী এই প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।

ভারতের শিলিগুড়ি পেঁয়াজের রপ্তানিকারক বাবু সাহা জানান, গত শুক্রবার বিকেলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে পূর্বের নির্ধারিত প্রতি মেট্রিক টন এলসি মূল্য ৫৫০ মার্কিন ডলার প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এখন থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে নির্ধারিত কোন এলসি মূল্যের বাধা থাকল না।

ফলে বাংলাদেশের আমদানিকারকরা পেঁয়াজের গুণগত মান যাচাই করে দরদাম ঠিক করে এলসি করে আমদানি করতে পারবেন। তাতে আগের চেয়ে কম দামে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন আমদানিকারকরা।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান, গত ডিসেম্বরে প্রথম পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু তারপর অনির্দিষ্টকালের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হয়।

প্রায় ছয় মাস পর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে গত ৪ মে থেকে পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস-এমইপি) নির্ধারণ করে ৫৫০ মার্কিন ডলার। এরপর থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।

বন্দরের পেঁয়াজের আমদানিকারক আলহাজ শহীদুল ইসলাম জানান, পাকিস্তান, মিশর, তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। দেশে একারণে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। ফলে দেশে ভারতের পেঁয়াজের চাহিদা কমে গেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

বিষয়টি ভারত সরকার বুঝতে পেরে এবং তাদের কৃষকদের চাপে পেঁয়াজের নির্ধারিত এলসি ৫৫০ মার্কিন ডলার প্রত্যাহার করেছে। বাংলাদেশের আমদানিকারকরা তাদের পেঁয়াজের মান দেখে শুনে দামদর ঠিক করে ২শ’-৩শ’ ডলারের মধ্যে আমদানি করতে পারবেন।

তবে আমরা চাচ্ছি পেঁয়াজ আমদানি করে আনতে ভারতকে যে ৪০ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে সেটাও যেন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তাহলে দেশে ভারতের পেঁয়াজের দাম কমে ৬০ টাকার কাছাকাছি আসবে।

হিলি স্থলবন্দরের মোকামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে। আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১শ’ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১শ’-১১০ টাকা দরে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS