ভিডিও

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত সৈয়দপুরের সাজ্জাদের বাবার আকুতি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪, ০৯:০২ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪, ০৯:০২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ঢাকার সাভারে পুলিশের গুলিতে নিহত নীলফামারীর সৈয়দপুরের সাজ্জাদ হোসেন ছিলেন পরিবারের একমাত্র সম্বল। নিহত হওয়ার দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও ছেলে হারানোর শোকে মূহ্যমান তার পরিবারের সদস্যরা।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার পশ্চিম পাটোয়ারীপাড়ার আলমগীর হোসেন ও সাহিদা বেগম দম্পতির ছেলে সাজ্জাদ হোসেন। অন্যের জমিতে বসবাস করতেন সাজ্জাদের পরিবার। সেখান থেকে উচ্ছেদ হয়ে পারি জমান ঢাকার সাভারে।

থাকতেন সাভার ডেইরি ফার্ম এলাকার দক্ষিণ কালমা এলাকায়। এক ভাই এবং তিন বোনের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন ছিলেন সবার বড়। ঢাকার সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজ করতেন একটি পোশাক কারখানায়। প্রায় সাত মাস আগে বিয়ে করেন তিনি। তার স্ত্রী সুমি আক্তার এখন অন্ত:সত্ত্বা।

গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অগ্রভাগে ছিলেন সাজ্জাদ। এরপর বেলা ১১টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের গুলিতে আহত হন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৬ আগস্ট বেলা ১২টায় তার মৃত্যু হয়।

পরে ৭ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। সাজ্জাদের বাবা বলেন, ছেলেই ছিল তার একমাত্র সম্বল। ছেলেকে হারিয়ে তিনি এখন নি:স্ব। সরকারের কাছে তার পরিবারের আশ্রয় আর কর্মসংস্থান দাবি করেন তিনি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS