ভিডিও

বৃষ্টি-গরম-যানজট উপেক্ষা করেও মার্কেটে মার্কেটে জমজমাট পূজার কেনাকাটা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৮:২৭ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৮:২৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : পূজার কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। আস্তে আস্তে উৎসবের আমেজে ফিরেছেন মানুষ। বগুড়ার বিভিন্ন মার্কেটে, শপিংমলে ফিরেছে চিরচেনা ভিড়। চলছে শরৎ কাল। কখনও নীল আকাশে রোদের দাপট, কখনও হঠাৎ করে আকাশ কালো হয়ে নামছে বৃষ্টি। এতকিছু ছাপিয়ে পূজার মার্কেট এবারও জমজমাট। এরই মধ্যে পূজা উপলক্ষ্যে সবার কেনাকাটা প্রায় শেষের পথে।

তবুও থেকে যায় অনেক কিছু। পূজা উপলক্ষ্যে এবছর মার্কেটে-মার্কেটে ও শপিংমল, অনলাইন, অফলাইন ও পাড়ার দোকান থেকেও কিনছেন পোশাক, খাবার, পূজার জিনিসপত্তর ছাড়াও উৎসবের সময় সেরা হওয়ার সব অনুষজ্ঞ।

পূজা শুরু হতে আর মাত্র ১২ দিন বাকি। এরই মধ্যে পূজা উপলক্ষ্যে বগুড়ার নিউমার্কেট, পুকুরপাড় মার্কেট, হকার্স মার্কেট, রানার প্লাজা, পুলিশ প্লাজা ছাড়াও শহরের বিভিন্ন শপিংমল ও বিপনীবিতাণগুলোতে উৎসব প্রিয়দের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শেষ মুহূর্তে রেডিমেড দোকানগুলোতে ভিড় দেখা যাচ্ছে। এবার পূজার পোশাক কেনার জন্য খুব বেশি চিন্তা করতে হচ্ছে না।

এখন আবহাওয়া অনেকটায় সহনীয়। কাজেই জমকালো পোশাকের কদর এবার একটু বেশি। তরুণীরা  লাল, কমলা ছাড়াও উজ্জ্বল বাহারী রঙের ও বিভিন্ন ডিজাইনের কামিজ, কুর্তি, গাউন, ঘের দেওয়া জামা কিনলেও নারীরা কিনছেন জামদানী ও বিভিন্ন ধরনের সফট্ কাতান, তসর, বিভিন্ন ধরণের সিল্ক শাড়ি। এরপরের পছন্দ জর্জেট ধরনের শাড়ি ও  হাফসিল্ক এবং দেশি তাঁতের শাড়ি।

বগুড়ার নিউ মার্কেটের শাড়ি ব্যবসায়ী সারোয়ার জানান, এই উৎসবকে কেন্দ্র করে সারাবছর তারা টাকা জমিয়ে রাখেন। সেই হিসেবে পূজা উপলক্ষ্যে ভালই ব্যবসা হচ্ছে। নারীদের পছন্দের তালিকায় এখনও শাড়িই সেরা। তারা পছন্দ করে কিনছেন দেশি, ইন্ডিয়ান ও টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি।

একই মার্কেটের মেয়েদের কাপড়ের একটি বড় প্রতিষ্ঠান মাসুম ক্লথ স্টোর। প্রতিষ্ঠানের একজন বিক্রয় প্রতিনিধি মো. সাহিদ জানান, এখনও বেচাকেনা চলছে, মাসের শুরুতে বেতন হলে বেচাকেনা জমে উঠবে। এসময় সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও সাধারণ ক্রেতারাও আসছেন। বেচাকেনা চলছে। পূজার আগের দিন পর্যন্ত বেচাকেনার আশা করছেন বিক্রেতারা।

এদিকে গতকাল নিউ মার্কেটে কেনাকাটা করতে এসেছেন অতশি রায় ও তার মেয়ে শুভ্রা রায়। তারা জানান, দুই-তিন মাস আগে থেকেই পূজা উপলক্ষ্যে কেনাকাটা করছেন। এখনও শেষ হয়নি। একদিন, একদিন করে পরিবারের সদস্যদের পছন্দের ড্রেস-স্যান্ডেল, জুয়েলারি কিনছেন। এখন এসেছেন টেইলার্স থেকে তার এবং মায়ের সালোয়ার এবং ছায়া-ব্লাউজ ডেলিভারি নেয়ার জন্য। এরপর আগামীকাল আসবেন মায়ের জন্য নতুন শাখা, সিঁদুর ও পূজা সামগ্রী কেনার জন্য।

একদিনে পূজার মার্কেট হয় না বলেও জানালেন তিনি। এখন পর্যন্ত নিজের জন্য চার সেট সালোয়ার কামিজ ও মসলিনের ওপর কাজ করা একটা শাড়ি এবং মায়ের জন্য জামদানি, টাঙ্গাইলের ও হাফসিল্ক শাড়ি কিনেছেন।

পূজার এই ক’দিন বগুড়ার চুড়িপট্টির দোকানগুলোয় উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। কেউ কিনছে নতুন শাঁখা, কেউ বা কিনছে পূজার উপকরণ। প্রতিমাকে পরাতে নতুন শাড়ি, সিঁদুর সংগ্রহ করছেন অনেকেই। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এসময় উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে বিক্রি বেশ ভালো বলে জানালেন বিক্রেতারা।

মাঝে বেশ কিছুদিন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কারণে অনলাইনে ব্যবসা বন্ধ থাকলেও এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন উদ্যোক্তারা। এখন পরিস্থিতি ভালো আছে। তারপরও ব্যস্ত নাগরিক জীবনে সময় বের করে মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। কেউ আবার অনলাইনেই কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন। পূজার আগে অনলাইনেও বেড়েছে কেনাকাটা।

এদিকে পূজা উপলক্ষ্যে বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলা প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ শহরমূখি হওয়ায় শহরের কেন্দ্রবিন্দু সাতমাথা, বড়গোলা, থানামোড়, ফতেহআলী মোড়, কাঁঠালতলা, ইয়াকুবিয়া, গোহাইল রোডসহ গোটা শহরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকছে। হঠাৎ বৃষ্টি, গরম ও যানজট  এসব ভোগান্তি উপেক্ষা করেই শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ঘুরে উৎসবের জন্য পছন্দের পোশাক ও পূজার অন্যান্য কেনাকাট সারছেন উৎসবপ্রিয়রা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS