ভিডিও

১৫ দিনের মধ্যে নদীর সীমানা চিহ্নিত করার তাগিদ, নদী দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে কর্মপরিকল্পনা সভায় ডিসি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ১০:৫৪ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ১০:৫৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : যমুনা বাঙালী করতোয়াসহ বগুড়ায় ২৩ টি নদীর অস্তিত্ব রয়েছে বলে জানিয়েছে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে এর কোনটারই সঠিক সীমানা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে আগামী ২ মাসের মধ্যে দূষণমুক্ত  নদীর সীমানা নির্ধারণ করার জন্য তাগিদ দিয়েছে বগুড়া জেলা প্রশাসন।

আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সেমিনার কক্ষ করতোয়ায় নদ নদীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ, নদীকে অবৈধ দখল দূষণমুক্ত করণ এবং কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন সংক্রান্ত সভায় এসব তথ্য জানান হয়। জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আফসানা ইয়াসমিন, পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহজাহান আলম, স্বপ্ন বগুড়ার পরিচালক জিয়াউর রহমান জিয়া, সাংবাদিক রাহাত রিটু প্রমুখ।

এর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ন কবির মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মূল প্রবন্ধে বগুড়ার প্রতিটি নদীর উৎপত্তিস্থল পতিত স্থল নদীর দৈর্ঘ্য ইত্যাদি তুলে ধরেন। এ সময় জানান হয়, বগুড়ার অনেক নদী শুস্ক মৌসুমে পানি শূন্য হয়ে পরে। নদীর তলদেশে ধান চাষ করা হয়। এই নদীগুলো দীর্ঘ দিনেও খনন  করা হয়নি। নদী গুলোর সীমানাও চিহ্নিত করা নাই।

নদ নদীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ, নদীকে অবৈধ দখল দূষণমুক্ত করণ এবং কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন সংক্রান্ত সভায় বক্তারা ব্যয়বহুল হলেও নদীর সীমানা নির্ধারণ, নদী খনন করে নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

বক্তারা করতোয়া নদীকে দূষণ এবং দখল মুক্ত রাখতে সকলকে কাজ করা আহবান জানান। বক্তারা করতোয়া নদীর সীমানায় থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা প্রসঙ্গে বলেন, নদীর সীমানায় ধর্মীয় স্থাপনা থাকলে তা অপসারণে ধর্মীয় নেতাদের মতামত গ্রহণ করে এলাকাবাসীর সাথে পরামর্শ করে অপসারণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং কোন এনজিও বা বেসরকারী সংস্থার দখলে থাকলে তা আইনগতভাবে উচ্ছেদের আহবান জানান হয়।

একই সাথে নদীর কাছাকাছি কোন স্থাপনা বা কল কারখানা স্থাপন না করতে উৎসাহিত করার আহবান জানান। নদীর কাছাকাছি স্থাপনা না করতে আইন করারও পরামর্শ দেন বক্তারা। প্রয়োজনে অধ্যাদেশ জারির আহবান জানান।

আলোচনা সভায় বগুড়ার জেলা প্রশাসক নদীর নদী দূষণ মুক্ত রাখা এবং সীমানা নির্ধারণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে স্থানীয় জনগণ এবং পানিউন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নদীর সীমানা চিহ্নিত করার আহবান জানান। তিনি পরিবেশ রক্ষায় দূষণের মাত্রা এবং উৎস সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে তা রোধ করার জন্য আহবান জানান।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS