শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে বিএনপি’র মিছিল ও দলীয় কার্যালয়ে সশস্ত্র হামলা-ভাঙচুরের মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান গৌরদাস রায় চৌধুরীকে (৬৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে স্থানীয় সীমাবাড়ি ইউনিয়নের বেটখৈর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বর্তমানে সীমাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান। আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে বগুড়ায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানার এসআই রবিউল ইসলাম জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা গৌরদাস রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপি নেতার দায়ের করা ওই মামলায় আসামি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই এমপি, তাদের ছেলে ও ব্যক্তিগত সহকারিসহ (পিএস) আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ১৪১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও অনেককে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর বেলা সোয়া ১১টার দিকে শেরপুর শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডের খেজুরতলাস্থ বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের পশ্চিমপাশে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন নেতাকর্মীরা। এসময় গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতাসহ মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্রসহ লোহার রড, লাঠি নিয়ে বিএনপি’র ওই মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়।
বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ছুঁড়ে এবং হাতবোমা নিক্ষেপ করে। এসময় সোহাগ ও শান্ত নামে দুইজন গুরুতর আহত হন। এছাড়া লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বিএনপি নেতা মামুনুর রশিদ আপেল, যুবদল নেতা আশরাফুদ্দৌলা মামুন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহ কাওছার কলিন্সসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করা হয়। পরে সশস্ত্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।