ভিডিও

বগুড়ায় জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে চাকরি, দুদক’র মামলা

৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪, ১১:১৪ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪, ১১:১৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার নিজের সন্তান না হওয়া সত্বেও জালিয়াতি করে মুক্তিযোদ্ধার কোটায় পুলিশে চাকরি প্রদানে সহয়তার অপরাধে দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন বগুড়া জেলা কার্যালয়ে দায়ের করা মামলায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও একজন পুলিশ সদস্যরাকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় পরস্পরের যোগসাজসে সরকারি ৩২ লাখ ৫০ হাজার ৭৩৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।

আসামিরা হলো বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার খিতাবের পাড়ার মৃত ফয়েজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম (৭২) এবং একই উপজেলার নয়াপাড়ার মোঃ জাফর আলী মন্ডলের ছেলে গাইবান্ধা পুলিশ লাইন্সে কর্মরত নায়েক ১৫৮ (বিপি নং ৮৯১০১৩০৯৬৪) মোঃ আহসান হাবীব (৩৫)।

দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে অভিযোগটি অনুসন্ধান শেষে দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয়, বগুড়ার সহকারী পরিচালক মোঃ জাহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের ছেলেকে নিজ ছেলে পরিচয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার কোটায়  চাকরি প্রদানে সহায়তা করেন। অথচ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলামের দুই মেয়ে রাশেদা খাতুন ও মোর্শেদা খাতুন ছাড়া আর কোন ছেলে সন্তান নেই।

তিনি মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে জালিয়াতি করে সোনাতলা উপজেলার নয়াপাড়ার মোঃ জাফর আলী মন্ডলের ছেলে মোঃ আহসান হাবীবকে নিজের ছেলে পরিচয় দিয়ে ২০১০ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকুরী পেতে অবৈধভাবে সহায়তা করেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন গত ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর এক স্বারক পত্র মূলে উক্ত বিষয় সংক্রান্ত অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরণ করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে অভিযোগটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ার পর ওই আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজসে সরকারি ৩২ লাখ ৫০ হাজার ৭৩৪ টাকা আত্মসাত করে মর্মে উল্লেখ করা হয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS