ভিডিও

ধুনটে ২টি গুদামে কোনো ধান সংগ্রহ করতে পারেনি অধিদপ্তর

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৪, ১০:০৮ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৪, ১০:০৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনটের ২টি সরকারি খাদ্যগুদামে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ৬৪৫ মেট্রিক টন থাকলেও কৃষকের কাছ থেকে আড়াই মাসে কোন ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য অধিদপ্তর।

তবে বরাদ্দকৃত ৩৩১ মেট্রিক টনের মধ্যে মাত্র সাড়ে ২০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলে চলতি মৌসুমে মুখ থুবড়ে পড়েছে ধান সংগ্রহ অভিযান কার্যক্রম। কোনো কোনো মৌসুমে চাল সংগ্রহ হলেও লক্ষ্যমাত্রার ২ভাগ ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি উপজেলার খাদ্য গুদামগুলো।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলা সদর ও গোসাইবাড়ি ইউনিয়নে সরকারি খাদ্যগুদাম রয়েছে। গত বছরের ২৩ নভেম্বর থেকে সরকারি ভাবে আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করা হয়। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি এ অভিযান শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আমন ধানের দাম ধরা হয়েছে ৩০ টাকা এবং ৪৪ টাকা চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদনকৃত ১৮১ জন কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয় খাদ্য বিভাগ। 
অ্যাপসে মনোনীত কৃষকেরা জানান, সরকারি খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে হলে নিবন্ধন, লটারী, আর্দ্রতা যাচাই, পরিবহন খরচসহ নানারকমের ঝামেলা পোহাতে হয়। এছাড়া ৩০ টাকা  কেজি দরে সরকারিভাবে ধানের সংগ্রহমূল্য প্রতি মণ ১ হাজার ২০০ টাকা।

অন্যদিকে হাট-বাজারে বর্তমানে প্রতি মণ ধান প্রকারভেদে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষক ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবসায়ীরা ধান কিনে রেখেছেন। কৃষকের কাছে ধানই নেই। একদিকে সরকারি দামের চেয়ে ধানের বাজারদর বেশি, অন্যদিকে চালের সরকারি মূল্য প্রতি কেজি ৪৪ টাকা হলেও বাজারে এ দরে কোনো চাল নেই বলে জানান কৃষকেরা।

স্থানীয় কৃষক নবীর উদ্দিন জানান, সরকারি গুদামগুলোতে নানা ধরনের নিয়ম রয়েছে। এগুলো বাড়তি ঝামেলা। এরপর রয়েছে পরিবহন ব্যয়। ব্যবসায়ীদের কাছে অনেক সময় বাড়িতে বসেই ধান বিক্রি করা যায় এবং সেটা নগদ টাকায়। তাই কৃষকেরা স্থানীয় মোকাম বা ব্যবসায়ীদের কাছে ধান বিক্রি করেন। কৃষক আলতাব হোসেন বলেন, সরকারি খাদ্যগুদামে বিক্রির পর টাকা পেতেও কয়েক ধাপের প্রক্রিয়া পার করতে হয়।

এ বিষয়ে ধুনট উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল মজিদ বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে কোনো ধান সংগ্রহ করা যায়নি। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে আগ্রহী নন। যার ফলে এখন পর্যন্ত এ উপজেলায় এক ছটাক ধানও সংগ্রহ করা যায়নি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS