ভিডিও

জয়পুরহাটে ভাইকে হত্যা মামলায় ছোটভাইসহ ১৭ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪, ১০:২৬ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪, ১০:২৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

জয়পুরহাট কোর্ট রিপোর্টার : জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধে বড় ভাই সালেহ মোহাম্মদকে হত্যা মামলায় ছোট ভাইসহ ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে পাঁজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমান না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দিয়েছে আদালত।

আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌসুলি এড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি। সালেহ মোহাম্মদ (৬৯) হত্যা মামলার ১৪ বছর পর রায় ঘোষণার সময় আদলতে ২০ জন উপস্থিত ও ২ জন আসামির অনুপস্থিতিতে এ আদেশ দেন বিচারক।

এদের মধ্যে পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আরিফুল প্রামাকি, আবু নাসের প্রামানিক, ডা: মো: শাহজাহান আলী, হাদিউজ্জামান প্রামানিক, আশরাফ আলী প্রামানিক, মোহাম্মদ আলী প্রামানিক, লাল মোহাম্মদ ওরফে লাল, মোহাম্মদ আলী প্রামানিক, জহির প্রামানিক, শামছুল আলম প্রামানিক, সায়েম উদ্দিন প্রামানিক, ওবাইয়দুল, সইম, আবু সাঈদ, রহিম, আবু বক্কর, বানু বেগম, সাহেরা বেগম।

তাদের মধ্যে আদালতে সাজাপ্রাপ্তের মধ্যে ১৫ জন উপস্থিত ছিলেন। অন্য ২ জন আশরাফ আলী প্রামানিক ও আবু সাঈদ প্রামানিককে পলাতক দেখানো হয়েছে। আর ৫জনকে খালাস দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২ মে সকাল ৮টার দিকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা রসুলপুর চকপাড়া গ্রামে সালেহ মোহাম্মদ ফসলি মাঠ থেকে শ্যালো মেশিনের ঘর ভাঙ্গিয়া টিন নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তার ছোট ভাই মোহাম্মদ আলী প্রামানিককে জমিজমা বিরোধে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে  তার বাড়ির নিকটে কয়েকজন দলবদ্ধভাবে গাছের সাথে হাত- পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।

পরে পানি খাইতে চাইলে মুখের মধ্যে মরিচের গুড়ার পানি ঢেলে দেয়। আসামিদের ভয়ে কেউ উদ্ধার করতে সাহস পাননি। একসময় ঘটনাস্থলেই মারা যায় সালেহ মোহাম্মদ প্রাং। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই আজিজুল হক ২০০৯ সালের ২ মে ১৯ জনের নাম উল্লেখ ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে পাঁচবিবি থানায় মামলা করেন।

পরবর্তীতে মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মুমিনুল হক ২০০৯ সালের ২৪ জুন এজাহার নামীয় আসামীর সাথে তিন জনের নাম তদন্তে বর্ধিত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আদালতের বিচারক এ রায় দেন।

মামলার সরকারি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পি.পি ও এড. উদয় সিংহ এ.পি.পি। আর আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড. নন্দকিশোর আগরওয়ালা ও এড. হেনা কবির।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS