মফস্বল ডেস্ক : বিয়ে করে বাসর রাতেই বর জানতে পারেন তার নববধূ অন্তঃসত্ত্বা। রাতেই স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা করে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তালাক দেন স্ত্রীকে। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের রিফিউজি কলোনিতে। বরের নাম মমিন মিয়া। এই ঘটনার পর নববধূর পুরো পরিবার এখন বাড়িছাড়া।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর সকদিরামপুর গ্রামের কৈ বাড়িতে বিয়ে হয় মমিন ও ওই তরুণীর। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিয়ে এবং বিচ্ছেদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. সেলিম।

তিনি বলেন, মেয়ের বাবা একজন দিনমজুর। তার চার মেয়ে। এটি তৃতীয় মেয়ে। বড় দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। আরও একজন ছোট মেয়ে আছে। ওই মেয়ের পুরান বাজারে বিয়ে হয়েছে জানতে পেরেছি। এরপর মেয়ের বাবা আমাকে গত কয়েকদিন আগে বাজারে যাওয়ার পথে জানিয়েছেন তার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তখন তিনি তার বাড়ির লিটন নামে এক যুবকের নাম বলেন। এসব বিষয়ে আমি চেয়ারম্যানকে জানাই এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিই।

বরের বাড়ির লোকজন অভিযোগ করেন, ওই পরিবারের লোকজন বহুদিন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত। তাদেরকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য বললে উল্টো অপবাদ দেয়। তাদের এহেন কাণ্ডে বাড়ির অন্য পরিবারগুলোর সম্মানহানি হয়। 

এদিকে ঘটনার পর ওই নববধূ গণমাধ্যমকে বলেন, গত এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ওই বাড়ির লিটন, ইলিয়াছ মাস্টার, শিমুল ও এলাকার রনি নামে যুবকরা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। যে কারণে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।

এদিকে বর মমিনের মা ছালেহা বেগম জানান, তার ছেলে ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করে। ছেলের বিয়ের আগে এমন কোনো তথ্যই তাদের জানা ছিল না। বিয়ের রাতে ছেলের বউয়ের এমন পরিস্থিতি দেখে তারা বিস্মিত হয়ে পড়েন। পরে রাতেই তাকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে অন্তঃসত্ত্বা নিশ্চিত হন। ওই রাতেই ছেলে তালাক দেয়। পরদিন শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আবারো পরীক্ষা করেন এবং সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে রিপোর্ট পান ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে মেয়ের পরিবার এসে তাকে ওইদিনই নিয়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী জানান, এই ধরনের ঘটনার বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। আমি লোকমুখে শুনেছি।