ভিডিও

রাজশাহীতে সড়কে গাছ ফেলে যানবাহনে গণডাকাতি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪, ১০:৪৯ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪, ১০:৪৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীতে সড়কে গাছ ফেলে যানবাহনে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪ টার দিকে রাজশাহীর পবা উপজেলার বায়া-তানোর সড়কের বাগসারা ও বাগধানীর মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দেশি অস্ত্রসহ অন্তত ১৫ ডাকাত সড়ক অবরোধ করে একাধিক যানবাহনে ডাকাতি করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আক্রান্ত যানবাহন চালকরা পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলেও কোন সহায়তা মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন।

ভুক্তভোগী চালকরা বলছেন, বায়া-বাগসারা সড়কটি ডাকাতি প্রবণ এলাকা হলেও গত দুই দশকে এভাবে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। এদিকে ডাকাতি ঘটনার সময়ের একটি প্রাইভেট কারের চালক ঘটনাটির আংশিক ভিডিও করতে সক্ষম হন।

ভিডিওতে দেখা যায়, একই ধরণের পোশাক পরা সশস্ত্র ডাকাতরা একেকটি গাড়ি সামনে যাচ্ছে আর টাকা পয়সা লুট করছে। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, দুইজন ডাকাত একটি গাড়ির সামনে টর্চ লাইটের আলো ফেলছে। দু’জন ডাকাত চালকের কাছ থেকে টাকা পয়সা কেড়ে নিচ্ছে। সামনের গাড়িতে ডাকাতি হচ্ছে দেখে একজন গাড়ি চালক তার গাড়ি পেছনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে দুইজন ডাকাত তাকে ধাওয়া করছে।

সড়কটিতে ডাকাত দলের কবলে পড়া নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার নাকইল গ্রামের ব্যবসায়ী এনামুল হক জানান, তিনি ঘটনার সময় বায়া-বাগসারা-তানোর সড়ক হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি একটি নতুন প্রাইভেটকার কিনে ঢাকা থেকে নিয়ামতপুরের বাড়ি ফিরছিলেন।

পেছনের আরেকটি মাইক্রো বাসে তার কয়েকজন নিকটাত্মীয় ছিলেন। তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন সামনে হয়তো যানজট লেগেছে। তাই ডান পাশ দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলোকে অতিক্রম করার  চেষ্টা করে। এ সময় ডাকাতদলের কয়েকজন সদস্য  দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তার গাড়ি ঘিরে ধরে। তারা গাড়ির গেট  খোলার জন্য চিৎকার দিতে থাকে। কিন্তু এনামুল হক  গেট না খুলে গাড়িকে পেছন দিকে নিতে থাকেন।

এরই মধ্যে পেছন থেকে আরেকটি প্রাইভেট কার তার গাড়ির পেছনে চলে আসে। ডাকাতরা পেছনের প্রাইভেট কারটিতে আঘাত করতে থাকে গেইট খোলার জন্য। তবে  পেছনের  গাড়ির চালক তুহিন আলীও  গেট না খুলে গাড়ি পেছনে নিতে থাকেন। ওই সময় ডাকাতদলের সদস্যরা গাড়িতে হাঁসুয়া ও রামদার আঘাত করতে শুরু করে।

এর ফলে প্রাইভেটকার চালক তুহিনের গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করায় ডাকাতদলের এক সদস্য তুহিনকে লক্ষ্য করে হাঁসুয়ার আঘাত করে। তবে একটুর জন্য তিনি রক্ষা পান। এভাবে তারা পালিয়ে আসেন। ডাকাতদলের কবলে এনামুলের নতুন প্রাইভেটকারও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী এনামুল হক আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে তারা আবার পেছনে বায়া  মোড়ে চলে আসেন। এর ২০ মিনিট পর ওই রাস্তা দিয়ে আরও গাড়ি যেতে শুরু করলে তারাও  পেছনে  পেছনে যান। গিয়ে দেখেন, ডাকাতদল যেখানে আক্রমণ করেছিল  সেখানে সড়কের ওপর থেকে একটি কাটা গাছ সরানো হচ্ছে।

তার আগেই ডাকাত দল পালিয়ে যায়। এনামুল দাবি করেন, প্রথমবার ঘটনাস্থলে তিনি ১৫  থেকে ২০ জন ডাকাত দেখেছেন। সবার হাতেই  দেশিয় অস্ত্র ছিল। এ ঘটনায় ১০ থেকে ১২ টি গাড়িতে ডাকাতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

সড়কে গণডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপির পবা থানার ওসি মো.  সোহরাওয়ার্দী বলেন, ‘এ ধরনের কোন ঘটনার কথা তার জানা নেই। আমরা সারারাত ডিউটি করেছি। ঘটনার বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS