ভিডিও

কুড়িগ্রামে ব্যবসায়ীদের বোকা বানিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, ০৮:৩৮ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, ০৮:৩৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে ব্যবসায়ীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে প্রতারক চক্র। হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। খোয়া যাওয়া অর্থ ফিরে না পাওয়ায় হাল ছেড়ে দিয়েছেন অনেক ভূক্তভোগী। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানান, মানুষকে সজাগ করার পরও ঘটনাগুলো  ফেক আইডি থেকে ঘটানো হচ্ছে।

বেশিরভাগ মোবাইল কল আসে নোয়াখালি ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকা থেকে। ইতিমধ্যে ঢাকা ডিবি থেকে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ব্যাপারে একজনকে আটক করা হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সব রকমের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে ভূক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, প্রতারক চক্রটি কুড়িগ্রাম শহরের কলেজমোড়ে অবস্থিত নান্না বিরিয়ানি হোটেল মালিকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় ১৭ হাজার টাকা।

রুপসী বাংলা নামে একটি হোটেলে মোবাইলে দু’দফায় ৩৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। গত বৃহস্পতিবার একই এলাকার  লেদ ব্যবসায়ী মতিউল ইসলাম নয়নের কাছ থেকে যন্ত্রাংশ ডেলিভারীর কথা বলে ১৯ হাজার ৫শ’ টাকা বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়।

এছাড়াও গত ২৬ নভেম্বর এক মাদ্রাসা শিক্ষকের একাউন্ট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা তুলে নেয়। এক শ্রেণির প্রতারক আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। শহরে এরকম বেশ কয়েকটি মোবাইল প্রতারণার ঘটনা ঘটলেও প্রতারকরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

নয়ন ওয়ার্কশপের মালিক মতিউল ইসলাম নয়ন জানান, জেলার নাগেশ^রী উপজেলার রায়গঞ্জ থেকে রাসেল নামে এক ব্যক্তি মোটর সাইকেলের ট্যাংক অর্ডার দেন। পরে (০১৬০৬১৫৯৬২২) নাম্বার থেকে নয়ন ওয়ার্কশপের নাম ভাঙ্গিয়ে রাসেলের কাছ থেকে ১৯হাজার ৫শ’ টাকা প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়।

একইভাবে কুড়িগ্রাম আলিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক সাইদুল ইসলামের মোবাইলে ২৬ নভেম্বর বিকাল ৪টার দিকে (০১৩২৪০৫৫৩০২) মোবাইল নম্বর থেকে জানানো হয় আপনি গত দুই বছর জেলার নাগেশ^রী ও ফুলবাড়ী উপজেলায় দুইবার ব্যবহারিক পরীক্ষার ডিউটি করেছেন। মাদরাসা বোর্ডের কর্মকর্তা পরিচয়ে তার বকেয়া পাওনা দেয়ার নামে কৌশলে তার নামীয় আইএফআইসি ব্যাংকের ডেভিট কার্ডের ভেলিডেটি নম্বর সংগ্রহ করে।

এরমধ্যে মোবাইলে ৫ হাজার টাকার একটি ম্যাসেস আসে। পরপর ৪বার ম্যাসেস আসার পর ওটিটি নাম্বার লক হয়ে যায়। তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে ২লক্ষ টাকা তুলে নেয় প্রতারক চক্র। রুপসী বাংলার ম্যানেজার শহিদুল্লা কায়সার জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার সময় জেলা প্রশাসনের কর্মচারী পরিচয়ে (০১৯৯৮৩৮২৩০৬) নম্বর থেকে ১৭ হাজার টাকার খাবারের অর্ডার দেয়া হয়।

পরে ম্যানেজারের দেয়া রকেট নাম্বারে ১৯ হাজার ৩৮০ টাকার একটি এসএমএস আসে। পরে অর্ডার বাতিল করে সেই টাকা ফেরৎ চাইলে তাদের প্রদেয় (০১৯৩৬৮১৩৭৫৫) বিকাশ নাম্বারে ১৫ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করা হয়।

এরমধ্যে পূর্বের রকেট নাম্বারে আবার ম্যানেজারের মোবাইলে ২৪ হাজার ৪৮০ টাকার ম্যাসেস আসে। সেই টাকা আবার বিকাশে ফেরৎ চাওয়া হলে হোটেল ম্যানেজার আবার বিকাশে ২৪ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করেন। এভাবে মোবাইলে নানান কায়দায় মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সচেতন হওয়ার আগেই ফেঁসে যাচ্ছে মানুষ।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS