কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের পেকুয়ায় কোমরে রশি বেঁধে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে আদালতে নেওয়ার ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। কোমরে রশি বেঁধে নেওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. ফাহিম।
গত রোববার বিকালে পেকুয়া থানা থেকে কোমরে রশি ও হাতকড়া পরিয়ে ওই ছাত্রকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। আদালত ফাহিমের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ফাহিম পেকুয়া সদর ইউনিয়নের আদর্শ পাড়া গ্রামের ডাক্তার শাহাব উদ্দিনের ছেলে। ফাহিম চট্টগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
পেকুয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত মাস দুয়েক পূর্বের একটি ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানায় গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফাহিমকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ফাহিমের পরিবার জানায়, রোববার পেকুয়া থানা পুলিশের একটি দল কোমরে রশি বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে অমানবিকভাবে ফাহিমকে আদালতে পাঠিয়েছে।
ফাহিমের বাবা ডা. মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শুরুতে আমার ছোট ছেলের সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ৯৯৯-এ ফোন করা হলে পুলিশ এসে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়। পরে আমার বড় ছেলে ফাহিম বাদী হয়ে মামলা করে। এরপর প্রতিপক্ষের লোক গোপনে আদালতে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা করলে ওয়ারেন্ট হয়। কিন্তু আমরা মামলার বিষয়টি জানতাম না। এভাবে দাগি আসামির মতো আমার ছেলে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেওয়ার ঘটনায় আমি বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার এএসআই রইস উদ্দিন বলেন, ‘একটি মামলায় ফাহিমের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। আমরা শুধু ওয়ারেন্ট তামিল করেছি। আদালতে পাঠানোর বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ‘নিরাপত্তা বলয়ে আসামিকে থানা থেকে আদালতে নেওয়া হয়েছে। আমি এর বাইরে কিছু বলতে পারব না।’
চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এম এম রকীব উর রাজা বলেন, ‘আসামি গ্রেফতার ও কোমরে রশি বেঁধে আদালতে পাঠানোর বিষয় আমাকে কেউ জানায়নি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।