ভিডিও

ধুনটে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকে চলছে ১১৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ১০:৫৯ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ১০:৫৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ২০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১১৮টিতে প্রধান শিক্ষক ও ৮৯টিতে একজন করে সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ২০২৩ সালে প্রধান শিক্ষক ৬৫ জন এবং সহকারী শিক্ষকদের পদ শূন্য ছিল ৫০ জন। প্রতি বছরই এ সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে শূন্য পদ পূরণের তেমন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছে, শূন্য পদসংক্রান্ত সব তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের অবসর, বদলি, মৃত্যু ও পদোন্নতিজনিত কারণে এসব প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়। প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মচারিদের কোন জবাবদিহিতা নেই বললেই চলে।

একই সঙ্গে প্রশাসনিক কার্যক্রম ও শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। উপজেলায় ১১৮টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য ছিল। আর ৮৯টি বিদ্যালয়ে একজন করে সহকারী শিক্ষকের পদ আজও শূন্য রয়েছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানসহ শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার নেতৃত্ব দেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু বছরের পর বছর প্রধান শিক্ষকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদটি শূন্য রেখেই চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে সব কার্যক্রম। বিদ্যালয়গুলোতে অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মচারির কোন জবাবদিহিতা না থাকায় মুখ থুবড়ে পড়ছে পাঠদান কার্যক্রম। আর সঠিক তদারকির অভাবে বিদ্যালয়গুলোতে দিন দিন শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার কমছে। এমন পরিস্থিতিতে সন্তানদের লেখাপড়ার মান নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরা।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় পাঠদানে কোন জবাবদিহিতা নেই। প্রধান শিক্ষকবিহীন বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকরা নিজেদের ইচ্ছামতো আসা-যাওয়া করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ফলে পড়াশোনার মানও দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া শিক্ষকদের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ থাকলেও সৃজনশীলতার প্রশিক্ষণ না থাকায় যথাযথ পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

ধুনট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুর রহমান বলেন, অবসর, বদলি ও মৃত্যুজনিত কারণে অনেক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। শূন্য পদসংক্রান্ত সব তথ্য বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যও জানানো হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS