বাগজানা (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজলোর কুসুম্বা ইউনিয়নের হরেন্দা বাজারসংলগ্ন রাস্তার পাশে পানি নিস্কাশনের একমাত্র নালাটি মাটি ভরাট করে বন্ধ করার অভিযোগ উঠছে হরেন্দা গ্রামের প্রভাবশালী নুর আলমের বিরুদ্ধে।
নালাটি বন্ধ করার কারণে বিদ্দিগ্রাম, গাংগুরিয়া ও হরেন্দার মৌজার মাঠের কয়েকশ’ একর কৃষি জমিতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে বলে শঙ্কা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। এতে ওই মাঠের চাষাবাদ ঝুঁকির মুখে পড়বে। নুর আলম হরেন্দা গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিদ্দিগ্রাম, গাংগুরিয়া ও হরেন্দার আংশিক এলাকার ফসলি মাঠের পানি যুগ যুগ ধরে পাঁচবিবি-কামদিয়া সড়কের উত্তর কোল ঘেঁষা নালা দিয়ে শালাইপুরের পাশ হয়ে হারাবতী নদীতে নিস্কাশন হতো।
কিন্তু হরেন্দা গ্রামের প্রভাবশালী নুর আলম হরেন্দা বাজার মসজিদসংলগ্ন পশ্চিম পাশে (বিদ্দিগ্রাম রাস্তার মুখে) পানি নিস্কাশনের একমাত্র নালার উপরে অবস্থিত কালভার্টের মুখ বন্ধ করে মাটি ভরাট করেছেন। ফলে এসব মৌজার মাঠে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
বিদ্দিগ্রামের মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম, আবু তালেব আব্দুল হাকিম বলেন, হরেন্দা বাজারের পানি নিস্কাশনরে কালভার্টসংলগ্ন নালার মুখ বন্ধ করার কারণে বর্ষা মৌসুমে শুধু আমন ধান নয় জলাবদ্ধতার কারণে বাড়িতে পর্যন্ত পানি উঠবে, পুকুরের মাছ ভেসে যাবে। যারা মাটি দিয়ে বন্ধ করছেন তারা এলাকার প্রভাবশালী। সে কারণে আমাদের কথা কেউ শোনে না।
এ ব্যাপারে নুর আলম মুঠোফোনে বলে, ‘আমি সরকারি বা অন্য কারো জায়গা ভরাট করিনি। আমার নিজের জায়গা ভরাট করেছি এতে কারো কথায় কিছু যায় আসে না।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিহাদ মন্ডল বলেন, হরন্দার নালা বন্ধের কারণে সংশ্লিষ্ট মাঠে জলাবদ্ধতা হবে। হরন্দার নালাটিসহ এলাকার সকল বন্ধ নালাগুলো খুলে দেওয়ার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সহকারী কমশিনার (ভূমি) মারুফ আফজাল রাজন বলেন, প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে সার্ভেয়ার ও ইউএনওসহ সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।