ভিডিও

তাড়াশে সাড়ে তিন হাজার বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা

যত্রতত্র পুকুর খনন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, ১১:১৬ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, ১১:১৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: যত্রতত্র পুকুুর খননে প্রায় ছয় বছর যাবত জলাবদ্ধতায় তিন থেকে চার ফসলি জমিগুলো বছরে সাত আট মাস পানিতে ডুবে থাকে। এ কারণে না হয় ধান না হয় সরিষা। শুধুমাত্র বোরো মৌসুমে একটি ফসলের আবাদ হয়।

তাও পানি নামতে দেরি হওয়ায় নাবী আবাদের কারণে ফলন ভাল হয়না। স্থানীয়রা জানায়, পূর্ব তাড়াশের মাধবপুর মথুরাপুর, বিদি মাগুড়া, শ্রী কৃষ্ণপুর, সান্তানসহ পাঁচ-ছয়টি গ্রামের আশেপাশের জমি গুলোর মাটি ছিল খুব উর্বর।

এসকল জমি থেকে সরিষা, গম, আলু, ধান, পাটসহ বছরে তিন থেকে চারটি ফসল ঘরে তুলতেন এলাকার শত শত কৃষক। অথচ অতি উর্বর এ ফসলি জমিতে ধানের চেয়ে মাছ চাষে অধিক লাভ হওয়ায় প্রায় আট দশ বছর পূর্বে কিছু কৃষক অবৈধভাবে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে পুকুর খনন শুরু করেন। আর এরইমধ্যে গ্রামগুলোতে ফসলি জমিতে খনন করা পুকুরের সংখ্যা প্রায় দুইশ’ ছাড়িয়ে গেছে। এতে আবাদি জমি কমার সাথে সাথে খাদ্য শস্যের উৎপাদনও কমছে।

যত্রতত্র পুকুর খননে এলাকার পানি প্রবাহের জন্য সরকারি অর্থায়নে করা ১০ থেকে ১২টি ব্রীজ কালভার্টের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ফসলি জমির পানি বের হতে না পেরে স্থায়ীভাবে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বিঘা জমিতে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। সৃষ্ট ভয়াবহ জলাবদ্ধতার নিরসন না হলে কৃষক পরিবার গুলোতে ভাত জুটবেনা এমনটি জানান সিরাজগঞ্জের তাড়াশ সদর ইউনিয়ন এলাকার মাধবপুর গ্রামের মো. জাকির হোসেন বি.এস-সি।

জলাবদ্ধতার ভয়াবহতা নিয়ে তাড়াশ সদর ইউনিয়নের (প্যানেল) চেয়ারম্যান মো. আকতার হোসেন বলেন, তাড়াশ সদর ইউনিয়নের এ এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে মানববন্ধন, কৃষক সমাবেশ সবই হয়েছে। পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বিএডিসি খাল খননের উদ্দ্যোগও নিয়েছেন। কিন্তু কেউ খাল খননের জমি দিতে চায়না।

তারপরও আমি এ অঞ্চলের তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার বিঘা জমির ভয়াবহ জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য উর্ধতন কর্তপক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখছি। তাড়াশ কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পুকুর খনন বন্ধ না করলে ওই এলাকায় কিছুই করা সম্ভব না। আর জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা চেষ্টাও করেছি। কিন্তু খনন করা পুকুরগুলোর পাড় কেউ কাটতে রাজি নন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS