ভিডিও

ধামইরহাটে ফলন ও দাম পেয়ে বরই চাষীর মুখে তৃপ্তির হাসি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪, ০৬:২৬ বিকাল
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪, ০৬:২৬ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাটে বরই চাষীদের মুখে যেন তৃপ্তির হাসি ফুটে ওঠেছে। ফলন বেশি এবং দাম ভালো পেয়ে স্বল্প সময়ে কৃষকের হাতে নগদ অর্থ এসেছে। আগামীতে এলাকায় অনেক বেশি জমিতে বরই চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে। উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষককে বরই চাষে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় বেশ কয়েক হেক্টর জমিতে বরই চাষ হয়েছে। অধিকাংশ বরই উপজেলার উঁচু জমিতে চাষ করা হয়েছে। চারা রোপণের মাত্র দুই বছরের মধ্যে গাছের ডালে থোকায় থোকায় দুলছে বরই। এতে খরচ কম ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ থাকলেও সঠিক সময়ে ঔষধ প্রয়োগ করতে পারলে ফসলের তেমন ক্ষতি হয় না।

উপজেলার ধামইরহাট ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামের দক্ষিণ মাঠে প্রায় আড়াই একর জমিতে বরই গাছের বাগান করেছেন জাহানপুর ইউনিয়নের নানাইচ কুড়ানো পাড়া গ্রামের বর্গাচাষী মো. গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, প্রায় আড়াই একর জমিতে দুই বছর আগে ৬শ’ বল সুন্দরী জাতের বরইয়ের চারা রোপণ করেন। বর্তমানে প্রত্যেক গাছের ডালে থোকায় থোকায় বরই ধরেছে। বাগান থেকে প্রতিদিন ২০-২৫ মণ বরই ওঠানো হচ্ছে।

প্রতি মণ বরই পাইকাররা দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা দরে কিনছে। এখন পর্যন্ত তার প্রায় ৫ লাখ টাকার বরই বিক্রি হয়েছে। আকার বড় হওয়ায় প্রতি কেজিতে ১৫-২০টি বরই ধরে। বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটি হওয়ায় এর মিষ্টতা অন্য এলাকার চেয়ে বেশি। বরই গাছের পাশাপাশি তিনি জমিতে এক হাজার ২০০টি বারি-৪ জাতের আম গাছ রোপণ করেছেন। এতে তার প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তিনি আশা করছেন প্রায় ১০ লাখ টাকার বরই এবার বিক্রি হবে।

প্রতিদিন তার বাগানে বর্তমানে ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করছেন। সকল খরচ মেটানোর পর আশা করছেন এবার ৫ লাখ টাকা লাভ করবেন। বরই তোলার পর জমিতে রোপিত বারি-৪ জাতের আম বিক্রি করে আরও দুই লাখ টাকা লাভ হতে পারে। বরইয়ের আকার বড় এবং মিষ্টতা ভালো হওয়ায় পাইকাড়রা প্রতিদিন বাগানে ভিড় করছেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে এ অঞলে ব্যাপকহারে বরই চাষ হবে।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, কৃষক বরই চাষ করে অধিক লাভবান হচ্ছেন। এবার আবহাওয়া বরই চাষের উপযোগী। ফলন ও দাম পেয়ে অনেক কৃষক লাভবান হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পক্ষ থেকে বরই চাষীদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। কোন সমস্যা হলে তাৎক্ষনিক বাগান পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS