ভিডিও

মাদরাসা সুপারের প্রতারণায় পরীক্ষা দেওয়া হলো না ৩ পরীক্ষার্থীর

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪, ০৭:৩৮ বিকাল
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪, ০৭:৩৮ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ভোলা প্রতিনিধি : ভোলায় পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি নিয়েও এসএসসি দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ৩ শিক্ষার্থী। তাদের অভিযোগ, এসএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন, ফরম ফিলাপ ও প্রবেশপত্র বাবদ ৪ হাজার টাকা নিয়েও এগুলোর কোনোটিই করেননি মাদরাসা সুপার। এমনকি পরীক্ষার আগের দিন অন্য তিন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র তাদের ধরিয়ে দিয়েও নিয়েছেন টাকা।

জানা গেছে, গত দুটি পরীক্ষার সময় ভোলার লালমোহন কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে চোখের জল ফেলেছে লালমোহন উপজেলার করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসার এসএসসি দাখিল পরীক্ষার্থী সোনিয়া আক্তার, সালমা আক্তার ও মুনতাহা। সবার মতো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও সেটি হয়নি তাদের। ওই তিন শিক্ষার্থী মাদরাসাটিতে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে পড়াশুনা করছে। এসএসসি দাখিল পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন ও ফরম ফিলাপ করলেও তাদের কোনোটিই হয়নি। এছাড়াও পরীক্ষার আগের দিন দুপুরে তাদের অন্য তিন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ধরিয়ে দিয়ে পরীক্ষার দেওয়ার কথা বলেন মাদরাসা সুপার মাওলানা রুহুল আমিন।

ভুক্তভোগী সোনিয়া আক্তার, সালমা আক্তার ও মুনতাহা জানায়, তারা ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে মাদরাসাটির নিয়মিত ছাত্রী। ২০২২ সালের দিকে নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে মাদরাসার সুপার মাওলানা রুহুল আমিন ৮শ টাকা নিয়েছেন। ২০২৩ সালের শেষের দিকে এসএসসি দাখিল পরীক্ষার ফরম ফিলাপের জন্য ২ হাজার ৫শ টাকা ও গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের জন্য ৭শ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এ সব টাকাই আত্মসাৎ করেছেন তিনি।

তারা আরও জানায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রবেশপত্রের টাকা নিয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্র তাদের হাতে তুলে দেন। বিষয়টির প্রতিবাদ করলে জানানো হয় নাম ও পিতার নাম ভুল হয়েছে, রাতের মধ্যে তা ঠিক করে দেবেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে রাতে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে লোক পাঠিয়ে প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে যান। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার কেন্দ্রে এসে মাদরাসা সুপারকে না পেয়ে কেন্দ্রের বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকে। এমনকি ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পরীক্ষা দিতেও সকাল থেকে কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে তারা।

করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. লোকমান হোসেন জানান, এ ঘটানার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন মাদরাসা সুপার মাওলানা রুহুল আমিন।

লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মাহবুব উল আলম জানান, ওই মাদরাসার সুপার মাওলানা রুহুল আমিন ও তার ছেলে অফিস সহকারী মো. ওবায়েতের বিরুদ্ধে লালমোহন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে মুনতাহার নানা মোহাম্মদ আলী। অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তদন্ত শুরু করেছি। লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি দেখার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS