ভিডিও

সাপাহার সরফতুল্লাহ মাদ্রাসা কেন্দ্রে, ৫৯ ভুয়া পরীক্ষার্থীর ঘটনার বিষয়ে ৩ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪, ১০:৩৬ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪, ১০:৩৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর সাপাহারে ঘটে যাওয়া ৫৯জন ভুয়া শিক্ষার্থী শনাক্ত কাণ্ডে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও রেজিস্টার প্রফেসর মো. সিদ্দিকুর রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ সূত্রে বিষয়টি জানা যায়।

অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের দাখিল পরীক্ষায় নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলায় সরফতুল্লাহ ফাযিল মাদ্রাসা ২৯১ নম্বর পরীক্ষা কেন্দ্রে গতকাল মঙ্গলবার আরবী দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা চলছিলো। এসময় কেন্দ্র সচিব কর্তৃক ৫৯জন ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত করা হয়।

যার মধ্যে সাপাহার শিমূলডাঙা দাখিল মাদ্রাসার ১১ জন, মানিকুড়া দাখিল মাদ্রাসার ৩ জন, বলদিয়াঘাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ২ জন, পলাশডাঙা দাখিল মাদ্রাসার ৮ জন, দেওপাড়া শিংপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ৩ জন, আলাদিপুর দাখিল মাদ্রাসার ১ জন, তুলসিপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ১৪ জন, আন্ধারদীঘি মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ১৭ জনসহ মোট ৮টি মাদ্রাসার ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত করা হয়।

বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক রিপোর্ট প্রদানের জন্য বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের প্রকাশনা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. রিয়াদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে তিন জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য দুইজন সদস্য কর্মকর্তা হলেন- বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (পরীক্ষা) মো. আব্দুস সালাম ও উপ-মাদ্রাসা পরিদর্শক মো. আকরাম হোসেন।

উল্লেখ্য যে, সাপাহার সরফতুল্লাহ মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ বছর ৪০টি প্রতিষ্ঠানের দাখিল পরীক্ষার্থী ছিল ৭৭৭ জন। মঙ্গলবার সেখানকার ২০টি কক্ষে ৭৫৭ জন পরীক্ষার্থী উপস্থিত হয়ে আরবি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। সকালে আকস্মিক ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এরপর অ্যাডমিট কার্ডের ছবির সাথে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মিল না থাকায় ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)।

যেখানে ১৫ জন ছাত্র এবং ৪৪ জন ছাত্রী ছিলো। তিনি আরও বলেন, উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরে তাদের মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS