ভিডিও

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টিপাতে আম, ধানসহ মাঠের সব ফসলের উপকারের আশা

চলছে আমগাছ পরিচর্যা ও বোরো রোপণ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪, ০৮:৫৭ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪, ০৮:৫৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলছে আমগাছ পরিচর্যা ও বোরো রোপণ কাজ। এরমধ্যে চলতি মৌসুমে প্রথম বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ও গতকাল বৃহস্পতিবার দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। এর আগে গত বুধবার বিকেলে সামান্য বৃষ্টি হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত  গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় গড়ে ৫.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৭, শিবগঞ্জে ৮, নাচোলে ৫ ও ভোলাহাট উপজেলায় ৭মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। এরআগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘন্টায় জেলায় গড়ে ৩.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়।

এরমধ্যে সদরে ২, শিবগঞ্জে ৩, নাচোলে ৫ ও ভোলাহাট উপজেলায় ৬ মি.মি বৃষ্টি হয়। সংশ্লিস্টদের ধারণা, এই বৃষ্টি আম, ধানসহ মাঠে থাকা সকল ফসলের জন্য উপকার বয়ে আনবে। তবে কোন ক্ষেত্রে কিছু ক্ষতি হতে পারে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবার জেলায় আম চাষ হচ্ছে ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে। যা গত মৌসুমে ছিল ৩৭ হাজার ৫৮৮ হেক্টর। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে বলে জানিয়েছে কৃষি দপ্তর।

আমচাষীরা এখন গাছ পরিচর্যার কাজ করছেন। আশা করা হচ্ছে পুরো ফাল্গুন মাস জুড়েই গাছে মুকুল আসবে। এদিকে জেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রোপণ হয়েছে ৪৮ হাজার ২০২ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার ৯২ শতাংশ। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত রোপণ চলবে। গত বছর ৫১ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছিল।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক পলাশ সরকার বলেন, প্রস্ফুটিত আমের মুকুলছাড়া ধানসহ অন্য কোন মাঠ ফসলের ক্ষেত্রে এত সামান্য বৃষ্টি তেমন ক্ষতি করবে না। বরং কিছু হলেও উপকার হবে। তবে এখন পর্যন্ত যেসব আম গাছের ফলন আগাম বা যেসব আম গাছে আগাম মুকুল এসেছে বা যে সকল চাষী যথাসময়ে সঠিকভাবে গাছের পরিচর্যা করেছেন (বাগান ব্যবস্থাপনা) শুধু তাদের গাছেই মুকুল আসতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় ৩৫ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে।

নাচোল অঞ্চলে বেশ কিছু গাছে বিশেষ করে ছোট গাছে মুকুল এসেছে। তবে বয়স্ক গাছে এবার মুকুল কম আসতে পারে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে যথেষ্ট মুকুল আসার আশা করা হচ্ছে। তবে আবহাওয়া যত গরম হবে মুকুল তত দ্রুত ফুটবে। আবহাওয়া গরমের সাথে মুকুল ফোটার সম্পর্ক রয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS